চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ৪ বাংলাদেশী আহত- গুলিবিদ্ধ একজনকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

চুয়াডাঙ্গার বেনীপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে চার বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। এ সময় আরো এক বাংলাদেশীকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ।
গত শনিবার গভীর রাতে ভারতের পুটখালী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের ওপর গুলি বর্ষণ করে। গুলিতে জেলার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের সেলিম উদ্দিনের দু’ছেলে খায়রুল (৩৮) ও সাইদুর রহমান (১৮), একই গ্রামের সামাদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫) ও পাশের গোয়ালপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে শুকুর আলী (২২) আহত হন। এ ছাড়া বিএসএফ ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার কুসুমপুর গ্রামের তেলা মণ্ডলের ছেলে মুকুল হোসেনকে (৩২) ধরে নিয়ে গেছে।

বিজিবি ও গ্রামবাসী সূত্র জানায়, এই পাঁচজন ব্যবসায়ী ভারত থেকে গরু আনার জন্য বেনীপুর সীমান্তের ৬৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছে পৌঁছালে ভারতের পুটখালী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ওপর অর্তকিত গুলি বর্ষণ করে। এতে চার বাংলাদেশী নাগরিক গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় মুকুল নামে আরো এক ব্যবসায়ীকে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়। আহতরা গোপনে জেলার বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে তাদের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা-৩৫ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল গাজী আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএসএফকে পত্র পাঠানো হলে রোববার দুপুরে বেনীপুর সীমান্তে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএসএফ জানায়, বিএসএফের স্পেশাল ফোর্স এই অভিযান চালিয়েছে। এ ঘটনার পর সীমান্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

পাটগ্রাম সীমান্ত থেকে আরো দুই বাংলাদেশীকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) সংবাদদাতা জানান, এবার ভারতীয় লোক দিয়ে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে দুই বাংলাদেশী কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশীদের ফেরত দেয়নি বিএসএফ। এ ব্যাপারে অজ্ঞাত কারণে বিজিবি মুখ খুলছে না।

জানা গেছে, পাটগ্রাম উপজেলার বামনদল সীমান্তের ৮৩৫ মেইন পিলারের ৫ সাব পিলারের কাছে বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গত শুক্রবার বিকেলে ভারতীয় লোক দিয়ে বামনদল গ্রামের জনাব আলীর ছেলে হামিদুল ইসলাম (২৩) ও মনির উদ্দিনের ছেলে নুর ইসলামকে (২৫) কৌশলে সীমান্তের কাছে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় ওঁৎ পেতে থাকা বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধরে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। এ ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে বুড়িমারী বিজিবি অজ্ঞাত কারণে কিছু বলছে না। এতে সীমান্তবর্তী গ্রামবাসীর মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে বুড়িমারী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জাবিউল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি কোনো কিছু বলতে রাজি হননি।

No comments

Powered by Blogger.