কারজাই-জারদারির সঙ্গে ক্যামেরনের বৈঠক আজ-কথা হবে আফগানিস্তানের শান্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে

আফগানিস্তানের শান্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। আজ সোমবার ত্রিপক্ষীয় এ সম্মেলন হওয়ার কথা।
গতকাল রবিবার তিন নেতা দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের বাকিংহামশায়ারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি অবকাশযাপনকেন্দ্র চেকার্সে নৈশ ভোজে মিলিত হন।
ক্যামেরন, জারদারি ও কারজাই আফগানিস্তান বিষয়ে এ নিয়ে তৃতীয় দফায় সম্মেলনে বসছেন। এবারের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সেনা ও গোয়েন্দা প্রধানরা অংশ নিচ্ছেন।
সম্মেলনে যোগ দিতে কারজাই গত শনিবার তিন দিনের সফরে ব্রিটেনে পৌঁছান। কারজাইয়ের আগে থেকেই জারদারি ব্রিটেনে অবস্থান করছেন। আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবান জঙ্গিদের মোকাবিলায় কী করা যেতে পারে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র বলেন, 'আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সম্পর্ককে জোরদার এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতি রক্ষায় আফগানিস্তানের শান্তি-ঐক্যপ্রচেষ্টাকে সমর্থনের জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ লক্ষ্যে রবি ও সোমবার পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।' ওই মুখপাত্র জানান, এবারের বৈঠকে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছাড়াও উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সেনা ও গোয়েন্দা প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন। আফগানিস্তানের শান্তি পরিষদের প্রধানও থাকবেন।
ওই মুখপাত্র আরো বলেন, 'বৈঠকে আফগান নেতৃত্বাধীন শান্তি আলোচনা এবং এতে পাকিস্তান ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিভাবে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে কথাবার্তা হবে। এ ছাড়া গত সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের যে সমঝোতা হয়েছিল তাও আরো এগোবে বলে আশা করছি আমরা।'
কারজাইয়ের দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়, 'আফগানিস্তানের শান্তিপ্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়াই এ বৈঠকের লক্ষ্য। এ ছাড়া সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো নিয়েও কথা হবে।'
গত জুলাইয়ে কাবুলে ক্যামেরন, জারিদারি ও কারজাইয়ের মধ্যে প্রথম আলোচনা হয়। গত সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক করেন তাঁরা।
২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো সেনা প্রত্যাহারের কথা। তার আগে এ বছরই আফগানিস্তান থেকে ব্রিটেন সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ক্যামেরন। ৯ হাজার ব্রিটিশ সেনার মধ্যে এ বছর তিন হাজার ৮০০ জনকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। বিশ্লেষকদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে, সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ বেধে যেতে পারে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.