বেলুচিস্তানে বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতা by সাহাদত হোসেন খান

বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অশুভ তৎপরতায় পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশ দিন দিন অশান্ত হয়ে উঠছে। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি রাজধানী কোয়েটায় এক দিনের বোমা হামলায় নিহত হয় ১০৩ জন।
পাকিস্তানে বোমা হামলায় আর কখনো এক দিনে এত লোক নিহত হয়নি। কারা সেখানে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালাচ্ছে তা সাধারণের পে বোঝা কঠিন। তবে অনুসন্ধানী দৃষ্টিতে তাকালে বোঝা যায়, বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে দোষ চাপিয়ে দেয় অন্যের ওপর। মধ্য এশিয়া, ইরান ও আরব সাগরের নিকটবর্তী হওয়ায় বেলুচিস্তানকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করার বিভিন্ন মহলের প্রচেষ্টা আছে। বিদেশী দেশগুলোর ভূরাজনৈতিক স্বার্থে বেলুচিস্তানে অবিরাম রক্ত ঝরছে। বেলুচিস্তান হচ্ছে পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ। এখানে খনিজসম্পদ বেশি। কিন্তু প্রচারণা চালানো হচ্ছে পাকিস্তানের বাকি তিনটি প্রদেশ তাদের শোষণ করছে।

সাড়াজাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্য অনুযায়ী ভারত ও রাশিয়া বেলুচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতায় সম্পৃক্ত। ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাস থেকে প্রেরিত তারবার্তায় বলা হয়, ভারত আফগানিস্তান সীমান্ত বরাবর নয়টি প্রশিণশিবির স্থাপন করেছে। এসব প্রশিণশিবিরে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) সদস্যদের প্রশিণ দেয়া হয়। আফগানিস্তানের ভূখণ্ড থেকে ‘র’ বেলুচিস্তানে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। ভারতীয় বন্দী সুরজিৎ সিংয়ের স্বীকারোক্তিতে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। ৩০ বছর কারাভোগের পর তাকে মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তিলাভের আগে সুরজিৎ সিং স্বীকার করেন পাকিস্তানে নাশকতামূলক তৎপরতা চালাতে র তাকে পাঠিয়েছিল। আফগানিস্তানের কুনার ও নুরিস্তান প্রদেশ হলো সোয়াত ও মালকান্দের পলাতক বিদ্রোহীদের আশ্রয়স্থল। সেখান থেকে এসব বিদ্রোহী দির, মোহামান্দ, বাজাউর, চিত্রল প্রভৃতি স্থানে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর উপর্যুপরি হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু এসব বিদ্রোহীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

১৯৭১ সাল থেকেই র বেলুচিস্তানে নাক গলাতে শুরু করে। সে সময় এ গোয়েন্দা সংস্থাকে সহযোগিতা করত সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি এবং আফগান গোয়েন্দা সংস্থা খাদ। পরবর্তীকালে সহযোগিতা করত আল-জুলফিকার গ্র“প। এখন সহযোগিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইসরাইল, জার্মানি ও আফগানিস্তান। বিদেশী দেশগুলোর নয় বছরের অব্যাহত চেষ্টায় বালুচ বিদ্রোহ বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে বিদ্রোহী বালুচ সরদার ও জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যে ােভ প্রকাশ করতেন। প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন ও প্রদেশের খনিজসম্পদের বৃহত্তর অংশ দাবি করতেন। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে তাদের বেশির ভাগ দাবি পূরণ করার পর তারা এখন বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা দাবি করছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত গোয়াধরে বন্দর নির্মাণবিরোধী একটি গ্র“পকে মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯২ সালে পাকিস্তান সরকার সংযুুক্ত আরব আমিরাতের কাছে এ অব্যবহৃত ঘাঁটি লিজ দেয়। তাদের কাছে বাহওয়ালপুর অঞ্চলের মরুভূমিতে আরো কয়েকটি জায়গা লিজ দেয়া হয়। ২০০১ সাল থেকে ঘাঁটিটি যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহার করছে। ২০০৪ সালে সিআইএ এ ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। হ্যাঙ্গার ও অবকাঠামো নির্মাণ করে এ ঘাঁটি সম্প্রসারণ করা হয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সন্তুষ্টি অর্জনে ২০০১ সালের ২০ অক্টোবর থেকে আফগানিস্তানে তালেবানের ওপর বোমাবর্ষণে আমেরিকান বিমান বাহিনীকে বেলুচিস্তানের জেকোবাবাদ, মিরানি, শামসি ও দালবালদিন বিমানঘাঁটি ব্যবহারের অনুমতি দেন। ২০০১ সালের ডিসেম্বরে তালেবানের পতন হওয়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র এসব ঘাঁটি ব্যবহার অব্যাহত রাখে। সিআইএ বেলুচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতায় উসকানি দান এবং বিএলএ, বিএলএফ, বিআরএ এবং লস্কর-ই-বেলুচিস্তানের সন্ত্রাসী তৎপরতা পর্যবেণে শামসি ঘাঁটির সদ্ব্যবহার করে। ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৬ এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র-এর সহায়তায় সিআইএ ২০০৫ সালে বেলুচিস্তানের অভ্যন্তরে ৬০টি প্রশিণশিবির এবং নিহত বালুচ নেতা আকবর বুগতির জন্য একটি গোপন আস্তানা নির্মাণ করে। পাকিস্তানের পরমাণু বিস্ফোরণস্থল চাগাইয়ের কাছাকাছি হওয়ায় সিআইএ’র কাছে শামসি বিমানঘাঁটির কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। এখান থেকে ইরানের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত মাত্র ১০০ মাইল দূরে। শামসি ঘাঁটি থেকে যুক্তরাষ্ট্র অতি সহজে ব্ল্যাকওয়াটার হেলিকপ্টারের সহায়তায় ইরান সীমান্তের খুব কাছে গোপন মিশন পরিচালনা করতে পারে। এ ছাড়া জুনদাল্লাহ ও বেলুচিস্তানে নিজস্ব এজেন্টদের মাধ্যমে ইরানের সিস্তান প্রদেশে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসে সমন্বয় করে। মাত্র ১০০ মাইল দূরে আফগানিন্তানের দণিাঞ্চলীয় সীমান্তের ওপর নজরদারি করছে।

গোয়াধর বন্দরে চীনাদের তৎপরতা পর্যবেণে মাকরান উপকূলের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। বেলুচিস্তানের বিপুল প্রাকৃতিক ও খনিজসম্পদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত আগ্রহী। বেলুচিস্তানের শামসি বিমানঘাঁটির কৌশলগত সুবিধা থাকায় সিআইএ এ স্থাপনা পরিত্যাগে ইচ্ছুক ছিল না। ২০১১ সালের ১৩ মে পাকিস্তান পার্লামেন্টের উভয় করে এক রুদ্ধদ্বার অধিবেশনে শামসি বিমানঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে লিজ দেয়ার কথা প্রকাশ করা হয়। পাকিস্তান বিমানবাহিনীর উপপ্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ হাসান পার্লামেন্টকে জানান, এ ঘাঁটি পাকিস্তান বিমানবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে নেই। ২০১০ সালের ২ মে অ্যাবোটাবাদে বিন লাদেনকে হত্যায় পরিচালিত অভিযান চালানো হয়েছিল এ ঘাঁটি থেকে। ২০০৯ সালের শেষ দিকে জানা যায় যে, সিআইএ শামসি ঘাঁটিকে পাকিস্তানের উপজাতীয় অঞ্চলে চালকবিহীন গোয়েন্দা বিমান (ড্রোন) হামলায় ব্যবহার করছে। উইকিলিকস এ তথ্য ফাঁস করা সত্ত্বেও পাকিস্তান সরকার অস্বীকৃতির ভান করছিল। আরো জানা যায়, সিআইএ ড্রোনে হেলফায়ার পেণাস্ত্র বোঝাই করতে শামসি ঘাঁটিতে কুখ্যাত মার্কিন অস্ত্র কোম্পানি ব্ল্যাকওয়াটার সদস্যদের নিয়োগ করেছে। গত বছরের ২২ মে করাচির মেহরান নৌঘাঁটিতে একটি ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। তথাকথিত ইসলামি জঙ্গিদের দোষারোপ করা হলেও ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে, বেলুচিস্তান উপকূলে পাকিস্তানি গোয়েন্দা বিমান পি থ্রি-৩ ওরিয়ন বিমান উড্ডয়নের সুযোগ বিনষ্টে সিআইএ এবং র যৌথভাবে এ হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের বিমানঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারের এই ধারাবাহিকতা নতুন নয়।

মাকরান উপকূলের গোয়াদর বন্দরকে মধ্য এশিয়ার জ্বালানি করিডোর হিসেবে ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্র চীনাদের তাড়িয়ে দিয়ে এ বন্দরের নিয়ন্ত্রণ লাভে আপ্রাণ চেষ্টা করছে। গোয়াধর প্রকল্প থেকে কয়েকজন চীনা কর্মচারীকে অপহরণ করা হয়। এমনকি কয়েকজনকে হত্যা করা হয়। পাকিস্তানে পলাতক আল-কায়েদা ও তালেবান জঙ্গিদের আস্তানা খুঁজে বের করতে সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ সিআইএকে ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সিআইএ ২০০৪ সালে হেলফায়ার পেণাস্ত্র হামলা চালিয়ে দণি ওয়াজিরিস্তানে নেক মোহাম্মদকে হত্যা এবং ২০০৬ সালে বাজাউরে আরো দু’বার পেণাস্ত্র হামলা চালিয়ে মোশাররফের দেয়া অনুমতি লঙ্ঘন করে। পাকিস্তানিরা জানত যে, আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানের উপজাতীয় অঞ্চলে ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে। পরবর্তীকালে পাকিস্তানিরা জানতে পারে যে, শামসি ঘাঁটি থেকে উপজাতীয় অঞ্চলে ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে।

উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের উপজাতীয় অঞ্চলের পর ড্রোন হামলার জন্য টার্গেট করা হয় বেলুচিস্তানের পশতুভাষী অঞ্চলকে। প্রচার করা হয় যে, তালেবান শীর্ষ নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমর ও আল-কায়েদার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি বেলুচিস্তানের পশতুভাষী অঞ্চলে লুকিয়ে আছেন। শুধু তা-ই নয়, আত্মগোপনকারী তালেবান বিদ্রোহীদের তৎপরতার প্রতি নজরদারি করতে বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় আমেরিকান কন্স্যুলেট প্রতিষ্ঠা এবং পাকিস্তানের দ্বাদশ কোরের সদর দফতরে একজন লিয়াজোঁ অফিসার নিয়োগে চাপ দেয়া হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বেলুচিস্তানে সক্রিয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্র“পগুলোর তৎপরতা বন্ধে আদৌ আগ্রহী নয়। এসব গ্র“প বেলুচিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা এবং ব্যাপক সন্ত্রাসবাদ কার্যকলাপে জড়িত তাই নয়, তারা তাদের ল্য অর্জনে বিদেশী শক্তি ও জাতিসঙ্ঘকে হস্তপে করার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। পাকিস্তানে বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্র“পগুলো নিষিদ্ধ হলেও যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেনি। কয়েক মাস আগে কয়েকজন মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ওয়াশিংটনে একটি বিশেষ বৈঠকে মিলিত হয়ে বেলুচিস্তান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এসব কংগ্রেস সদস্যের উদ্যোগে ২০১২ সালের ফেব্র“য়ারিতে মার্কিন কংগ্রেসে বেলুচিস্তান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়। এ প্রস্তাবে বালুচদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার মেনে নিতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। পাকিস্তান করাচি থেকে আফগানিস্তান অভিমুখী ন্যাটো সরবরাহ রুট খুলে দিতে অস্বীকার করায় কংগ্রেসে এ প্রস্তাব পাস করা হয়।

মার্কিন দূতাবাসের তারবার্তায় ভারতে আইএসআইয়ের সক্রিয় উপস্থিতি নিশ্চিত করা হলেও কোনো সন্ত্রাসী হামলায় এ গোয়েন্দা সংস্থার সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা হয়নি। আরেকটি তারবার্তায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা এবং চরমপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি যোগসূত্র নিশ্চিত করা হয়েছিল। তারবার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বিশেষজ্ঞ হেমন্ত কারকারে পাকিস্তান অভিমুখী সমঝোতা এক্সপ্রেস ট্রেন উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চালানোর সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মরত লে. কর্নেল পুরোহিতকে গ্রেফতার করলে এ যোগসূত্র ফাঁস হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞ হেমন্ত কারকারে বন্ধুপ্রতিম একটি দেশের জাতীয় দিবসের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে নয়াদিল্লির একজন মার্কিন কূটনীতিকের সাথে গোপন বৈঠকে মিলিত হন এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা এবং চরমপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলোর মধ্যকার ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের গভীরতা সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন। কারকারে তাকে জানান, তিনি এ নেটওয়ার্ক উদঘাটনে আরো এগিয়ে যেতে চান। এতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও সরকার তাকে হত্যা করতে পারে। তাই তিনি এ কূটনীতিকের কাছে তার নিজের এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা চান। তিনি তাকে আরো জানান, ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যাঞ্চলীয় কমান্ডের সাবেক কমান্ডার লে. জেনারেল পিএন হুন হিন্দু চরমপন্থী গ্র“পগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং তিনি সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরিপূর্ণ বৈষয়িক ও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। ২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে কারকারে নিহত হলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরিত একটি তারবার্তায় বলা হয়, আমরা একটি তাৎপর্যপূর্ণ যোগসূত্র এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হারিয়েছি।

লেখক : সাংবাদিক

No comments

Powered by Blogger.