১০ টাকায় চাল নিয়ে সংসদে বিতর্ক

নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়ানোর বক্তব্য নিয়ে সোমবার অনির্ধারিত বিতর্ক হয় জাতীয় সংসদে। পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিএনপির প্রবীণ সংসদ সদস্য এম কে আনোয়ার গত নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জনসভায় শেখ হাসিনার এমন অবাসত্মব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন।
তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে কয়েকটি পত্রিকার পুরানো রিপোর্ট তুলে ধরেন। অন্যদিকে সরকারের পৰে আওয়ামী লীগের প্রবীণ সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমদ এটাকে অসত্য মনত্মব্য করে বলেন, তারা চার বছর আগের পুরানো তথ্য নিয়ে ইস্যু তৈরি করতে চাইছে। বিরোধী দল পরাজয়ের দীর্ঘস্থায়ী গস্নানি থেকেই এমন আচরণ করছে।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনার আগেই বিরোধী দল পয়েন্ট অব অডর্ার চাইলে স্পীকার এ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ তা নাকচ করে দিয়ে বলেন, আলোচনা শেষে তা দেয়া হবে। রাত সাড়ে ৮ টায় পয়েন্ট অব অডর্ারে সুযোগ পেয়ে এম কে আনোয়ার ২০০৬ সাল থেকে নির্বাচনের আগ পর্যনত্ম বিভিন্ন পত্রিকার বরাদ দিয়ে নির্বাচনী জনসভায় শেখ হাসিনার বক্তব্য তুলে ধরতে থাকেন। এক পযর্ায়ে স্পীকার এটা পয়েন্ট অব অডর্ার নয়, বিবৃতি হয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তাঁকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু স্পীকারের কথায় কর্ণপাত না করে তিনি টানা কথা বলতে থাকলে তার মাইক বন্ধ করে দেন স্পীকার।
এম কে আনোয়ার পয়েন্ট অব অডর্ারে বলছিলেন, প্রধানমন্ত্রী কোন দলের নয়। তিনি সকলের। সবার প্রতি তিনি সমান ব্যবহার করবেন সেটাই আমরা আশা করি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে বেরিয়ে আসা তথ্যের বিভ্রানত্মি ঘটানো সঠিক নয়। পত্রিকার প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা আছে, শেখ হাসিনা জনসভায় বলেছেন 'নৌকায় ভোট দেব, ১০ টাকা কেজিতে চাল খাব।' তার এ সস্নোগান নির্বাচনী প্রচারে আওয়ামী লীগের কর্মীরা অলিতে গলিতে ছড়িয়ে দেয়।
এম কে আনোয়ার বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ পয়েন্ট অব অডর্ারে দাঁড়িয়ে বলেন, বিরোধী দল সম্পূর্ণ অসত্য বক্তব্য দিয়ে চলছে। ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির বাতিল নির্বাচনের আগে ২০০৬ সালে নির্বাচনী জনসভায় শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তুলে আনা হয়েছে। সেটা চার বছর আগের কথা। ১০ টাকা কেজিতে চাল দেয়ার কথা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে নেই। আর ভোটারদের ৯০ শতাংশ মানুষ সেই নির্বাচনী ইশতেহার দেখেই ভোট দিয়েছে আওয়ামী লীগকে। তারা জোট সরকারের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। তিনি বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানান, সংসদে অহেতুক অসত্য বক্তব্য দেবেন না। আপনাদের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে আসুন। আমাদেরটাও নিয়ে আসব। ইশতেহারে ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়ানোর কথা প্রমাণ করতে পারলে আপনাদের ধন্যবাদ জানাব।

No comments

Powered by Blogger.