স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকারও বিদায়- কেপ ভার্দে রূপকথার সমাপ্তি

থেমে গেল কেপ ভার্দের স্বপ্নদৌড়। পরশু তাদের ২-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে ঘানা। গত পরশু অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিদায় করে দিয়েছে মালি।
কেপ ভার্দের রূপকথা শেষ করার মূলে বদলি খেলোয়াড় মুবারাক ওয়াকাসো। দুটি গোলই করেছেন ২২ বছর বয়সী বদলি স্ট্রাইকার। তবে হারলেও মাথা উঁচু করেই দেশে ফিরছে কেপ ভার্দে। প্রথমবার খেলতে এসেই কোয়ার্টার ফাইনাল। সেটিতেও কেপ ভার্দেই ছিল শ্রেয়তর দল। ম্যাচ শেষে কেপ ভার্দের কোচ লুসিও আন্তুনেস বলেছেন, ‘টুর্নামেন্টের সেরা দলটি বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।’ এ কথায় ছিল আক্ষেপ, তার চেয়েও বেশি হয়তো ক্ষোভ।
কারণ টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের জন্য কেপ ভার্দে কোচ কাঠগড়ায় তুলেছেন মরিশাসের রেফারি ও আয়োজকদের। প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও কেপ ভার্দের হাতেই ছিল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু ৫৪ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি থেকে সুযোগটি কাজে লাগাতে ভুল করেননি দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলবার্ট আদোমাহর বদলি নামা ওয়াকাসো। এই পেনাল্টিতে আপত্তি তো আছেই, আন্তুনেস ক্ষুব্ধ ৮২ মিনিটে তাদের একটা পেনাল্টি না দেওয়ায়ও। আন্তুনেসের সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হোসে মরিনহোর দারুণ সখ্য। পরশু আন্তুনেসও মরিনহোর মতো করেই বললেন, ‘আমরা সুন্দর একটা ফুটবল ম্যাচ দেখলাম। কিন্তু সেরা দলটি হেরে গেল। এতে যেন টুর্নামেন্টের ঔজ্জ্বল্যও কিছুটা কমল।’ এরপরই বাঁকা ইঙ্গিতটা দিয়েছেন রেফারির দিকে, ‘তাঁর দেশকে আমি সম্মান করি। কিন্তু আফ্রিকান নেশনস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মরিশাসের একজন রেফারিকে দায়িত্বটা দেওয়া কি ঠিক? তারা (আয়োজকেরা) হয়তো ঘানাকেই সেমিফাইনালে চেয়েছিল। কারণ, বুরকিনা ফাসো বা টোগোর বিপক্ষে কেপ ভার্দের সেমিফাইনাল দেখতে গ্যালারিতে কে আসবে?’ বিতর্কে না গিয়ে ঘানার কোচ এবং অধিনায়কও স্বীকার করেছেন, ম্যাচে কেপ ভার্দেই ছিল ভালো দল।
কেপ ভার্দের মতো স্বপ্নের দৌড় শেষ হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকারও। মালির কাছে টাইব্রেকারে (৩-১) হেরে বিদায় নিয়েছে স্বাগতিকরা। নির্ধারিত সময়ে স্কোর ছিল ১-১। অতিরিক্ত সময় শেষেও তা-ই থাকলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেমিফাইনালে মালির প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া। কাল শেষ আটে ফেবারিট আইভরি কোস্টকে ২-১ গোলে হারিয়েছে দুই বারের চ্যাম্পিয়নরা। রয়টার্স, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.