যুদ্ধাপরাধী রক্ষা চেষ্টার জন্য আপনারই একদিন বিচার হবে- কামরাঙ্গীরচরে বিশাল সমাবেশে খালেদার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী

 কামরাঙ্গীরচরের বিশাল জনসভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেছেন, যুদ্ধারপরাধীরা স্বাধীনতার কলঙ্ক।
বাঙালীর ললাটে থাকা এই কলঙ্ক আমরা মোচন করবই। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া যতই আন্দোলনের নামে আস্ফালন করুক, ক্যাডারবাহিনী লেলিয়ে দিয়ে মানুষ ও পুলিশ হত্যা করুক না কেন, তিনি (খালেদা জিয়া) এ বিচার বন্ধ করতে পারবেন না। বরং যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার নামে মানুষ হত্যা, পুলিশ হত্যার জন্য একদিন বাংলার মাটিতে দেশের জনগণ খালেদা জিয়া ও তাঁর ক্যাডার-দোসরদের বিচার করবে।
লাখো মানুষের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষ ভাষার অধিকার, স্বাধীনতা ও উন্নয়ন পেয়েছে। আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট দিলে আমরা মানুষের সেবা করব। তিনি বলেন, গত নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনেও আমি আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। আপনারা দু’হাত তুলে ওয়াদা করেন আমাদের ভোট দেবেন। এ সময় জনসভায় উপস্থিত লাখো জনতা দু’হাত তুলে প্রধানমন্ত্রীকে আগামী নির্বাচনে ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা মানেই দেশের উন্নয়ন, আর বিএনপি ক্ষমতায় আসা মানে দেশের অবনতি। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হত্যা, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, বোমা ও গ্রেনেড হামলায় দেশের মানুষ ছিল অতিষ্ঠ। আমরা সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছি। শক্তহাতে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ দমন করেছি। আমরা দেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করবই ইনশাল্লাহ।
রবিবার বিকেলে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের কোম্পানিঘাট মাঠে কেরানীগঞ্জ-কামরাঙ্গীরচর-সাভার থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে আরও বলেন, আপনি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চান। আপনার দোসরদের রক্ষার জন্য আপনি আন্দোলনের নামে পুড়িয়ে ও গুলি করে মানুষ হত্যা করেন, হরতাল দেন। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেশের সকল মানুষের প্রাণের দাবি। যতই আন্দোলনের নামে আস্ফালন করেন না কেন, এ বিচার বন্ধ করতে পারবেন না। এ বিচার হবেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে আমরা বাংলাদেশের মানুষের কপাল থেকে কলঙ্ক মুছে ফেলব। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি। একজনের বিচারের রায়ও হয়েছে। আমরা এই বিচার শেষও করতে পারব, ইনশাল্লাহ।
ঢাকা-২ আসনের এই জনসভাকে ঘিরে নেমেছিল মানুষের ঢল। এলাকার মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দমুখর পরিবেশ। লাখো মানুষের ঢলে জনসভাটি রীতিমত জনসমুদ্রে রূপ নেয়। ব্যাপক মানুষের উপস্থিতিতে জনসভাটি শেষ পর্যন্ত প্রথম নির্বাচনী সমাবেশে রূপ নেয়। দুপুর আড়াইটায় জনসভা শুরুর কথা থাকলেও বেলা ১২টার আগে থেকেই এই নির্বাচনী এলাকা ছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ড, থানা ও ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী-সমর্থক মিছিল সহকারে জনসভাস্থলে হাজির হতে শুরু করেন। জনসভায় দলের নেতাকর্মী ছাড়াও স্বতঃস্ফূর্ত মানুষের বিশেষ করে বিপুলসংখ্যক নারী ও নতুন প্রজন্মের সন্তানদের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করার মতো।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনতার ভিড়ে জনসভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। জনসভার মাঠ উপচে মানুষের ঢল আশপাশের সড়ক, বেড়িবাঁধের দীর্ঘ পথে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি আশপাশের সড়ক ও এলাকায়ও মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সংসদ সদস্য এবং বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড নেতাদের ছবি ও দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে বিভিন্ন সেøাগান ও শোডাউনও দেখা গেছে। এতে পুরো জনসভাস্থলে রীতিমতো নির্বাচনী আমেজের সৃষ্টি হয়। জনসভায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিশাল শোডাউনও ছিল উল্লেখ করার মতো। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে থানার নেতা পর্যন্ত প্রত্যেক বক্তাই দেশের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আওয়ামী লীগকে আবারও জয়ী করার আহ্বান জানান।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, নগর আওয়ামী লীগের এমএ আজিজ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এমপি, নসরুল হামিদ বিপু এমপি, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এমপি, বেনজির আহমেদ এমপি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের মোল্লা মোঃ আবু কাউছার, ছাত্রলীগের এসএম বদিউজ্জামান সোহাগ, যুবলীগের আবদুস সাত্তার মাসুদ, ইসমাইল হোসেন সম্রাট, শফিউল আলম বারকু, ওয়াহিদুল আলম আরিফ, স্থানীয় নেতা হাজী আবুল হোসেন সরকার প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন নগর নেতা শাহ আলম মুরাদ। এ সময় মঞ্চে মন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, মৃণাল কান্তি দাস, আসলামুল হক এমপি, সানজিদা খানম এমপি, ইলিয়াস মোল্লাহ এমপি, শাহিদা তারেক দিপ্তী এমপি উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তাঁর সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করলেও ‘৭৫-এ তাঁকে সপরিবারে হত্যার পর জেনারেল জিয়া ক্ষমতায় এসে মার্শাল ল অর্ডিন্যান্স জারি করে এ বিচার বন্ধ করে দেন। কারাগারে আটক যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেন। প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রী-উপদেষ্টাও বানান। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁর স্ত্রী আজকের বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াও যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে রাজনীতি করছেন, তাদের গাড়িতে লাখো শহীদের রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন। এখন যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে রাজপথে আন্দোলন করছেন। মানুষ পুড়িয়ে মারছেন, পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছেন।
অর্থনীতিসহ দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে মহাজোট সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাত্র চার বছরে বর্তমান সরকার যত কাজ করেছে, অতীতে কোন সরকারই তা করতে পারেনি। কারণ আওয়ামী লীগের রাজনীতিই হচ্ছে দেশের উন্নয়ন করা, দেশের মানুষের সমস্যা সমাধান করা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে বলেই দেশের মানুষের মধ্যে শান্তি ও স্বস্তি বিরাজ করছে। তিনি বলেন, এ দেশকে আমরা এগিয়ে নিতে চাই। দেশকে ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে চাই। আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করে বিশ^সভায় মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করবই।
বিরোধীদলীয় নেত্রীর কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় এলে তিনি নাকি দেশের চেহারাই পাল্টে দেবেন! তিনি (খালেদা জিয়া) দেশের চেহারা কি পাল্টাবেন তা দেশের মানুষ আগে দেখেছে। তিনি বলেন, আজকে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখছে এটা উনার পছন্দ হচ্ছে না। বিএনপির আমলে ৪০ ভাগ পাস করত এখন ৮৬ ভাগ পাস করে। পছন্দ না হওয়ারই কথা।’ ‘আমি পাস করি নাই তো তোরা পাস করবি কেন’- এটাই খালেদা জিয়ার মনের কথা।’ কেননা এসএসসিতে বাংলা, অঙ্ক আর উর্দু ছাড়া উনি সব বিষয়ে ফেল করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ আসে উন্নতি করতে, আর উনারা (খালেদা জিয়া) আসেন অবনতি করতে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে মানুষ থাকে অন্ধকারে। বিদ্যুত থাকে না। ক্ষমতায় থেকে পাঁচ বছরে এক ফোটাও বিদ্যুত উৎপাদন করেনি। বিদ্যুতের সকল টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। যা মাঝে মধ্যে ধরা পড়ছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেশের মানুষকে বিদ্যুত দিতে না পারলেও দিয়েছে শুধু খাম্বা। নিজের ছেলে খাম্বার ব্যবহার করত বলেই বিদ্যুত না দিয়ে তিনি জনগণকে শুধু খাম্বা দিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, মাত্র চার বছরে বিদ্যুত সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। প্রায় ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মাত্র চার বছরে বর্তমান সরকার প্রায় ৫ লাখ বেকারের সরকারী চাকরি এবং প্রায় ৮০ লাখ বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। এত অল্প সময়ে অতীতে কোন সরকার এত মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে দেশের মানুষের উন্নয়ন করতে। সারা বাংলাদেশেই আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী জনসভায় ভাষণ প্রদানের আগে কামরাঙ্গীচর এলাকাকে তিনি সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিলে এলাকার লাখো মানুষ তুমুল করতালি ও সেøাগান দিয়ে তাঁকে অভিনন্দিত করেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী তিনটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেখ জামাল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় এবং মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট কামরুল কমিউনিটি সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় এলাকার মানুষের প্রাণের দাবি খোলামুড়া-কামরাঙ্গীরচর সেতু নির্মাণেরও ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে পুলিশ বাহিনীর জন্য স্থানীয় দুই শিল্পপতির দেয়া দুটি পিকআপ ভ্যানেরও চাবি হস্তান্তর করা হয়।
খালেদা জিয়াকে ক্ষমা চাইতে হবে : সৈয়দ আশরাফ ॥ জনসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ‘ওয়াশিংটন টাইমস’-এ লেখা নিবন্ধের কড়া সমালোচনা করে বলেন, দেশ-জাতি, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া যা লিখেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। এই বাংলাদেশের মানুষ রাষ্ট্র পরিচালনা না করে বারাক ওবামা ওয়াশিংটন থেকে এ দেশ পরিচালনা করুক এটাই কি খালেদা জিয়া চান? বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের একটি কলোনি বা ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র হোক সেটাই কি তিনি চান? কিন্তু বাংলার জনগণ এটা চায় না।
তিনি বলেন, যত পরাক্রমশালী বা অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশই হোক, কোন দেশকে প্রিয় মাতৃভূমির ওপর খবরদারি করতে শেখ হাসিনা ও দেশের জনগণ কোনদিনই দেবে না।
সৈয়দ আশরাফ আরও বলেন, আমরা কারও দয়ার বাংলাদেশকে স্বাধীন করিনি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ত্রিশ লাখ শহীদের বুকের রক্তে দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা কখনও কোন দেশকে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাতে পারি না। কোন দেশপ্রেমিকও এটা করতে পারে না। এটা দেশদ্রোহের শামিল।
ওয়াশিংটন টাইমসকে একটি অখ্যাত পত্রিকা আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ওই পত্রিকায় যা লিখেছেন সেটা বাঙালী জাতির জন্য আত্মহত্যার সমান। বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য যাতে আমদানি না করা হয় সেজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে খালেদা জিয়া আহ্বান জানিয়েছেন। আজকে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমদানি বন্ধ করে তাহলে কাদের ক্ষতি হবে? গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজের লাখ লাখ নারী শ্রমিকের জীবন জীবিকার ক্ষতি হবে। গার্মেন্টসের লাখো নারী শ্রমিকের কর্মসংস্থান বন্ধের জন্য খালেদা জিয়া আমেরিকাকে এই আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খালেদা জিয়াকে তাঁর লেখার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সেই লেখা ক্ষমার যোগ্য নয়। আজকে আপনি আমাদের রাজনৈতিক শত্রু নন, আমরা আপনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। আসুন আপনাদের এবং আমাদের বিশ্বাসের প্রতিযোগিতা গ্রহণ করি। কিন্তু এদেশের রাজনীতির ইতিহাসকে বানচাল করে এমন একটা লেখা আমেরিকার পত্রিকায় লেখার জন্য বাংলার মানুষের কাছে আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.