সন্ত্রাসীরা বিশেষ মহলের নির্দেশে মাঠে!

 পলাতক ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী ডাকাত শহীদ ভারতে গ্রেফতার হয়েছে বলে সিআইডির দাবিটি ক্রমেই ফিকে হয়ে যাচ্ছে। বরং সে পালিয়ে দুবাইতে অবস্থান করে সরাসরি আন্ডার ওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করছে বলে তথ্য মিলেছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অনত্মরীণ থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী সাবেক ছাত্রদল নেতা পিচ্চি হেলাল এবং ভারতে গ্রেফতারের পর পুশব্যাক কায়দায় দেশে ফিরিয়ে আনা সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের ইন্ধন ও গোপন নির্দেশনায় রাজধানীতে তাদের বাহিনীগুলোর তৎপরতা বাড়িয়েছে। ওই সন্ত্রাসী গ্রম্নপগুলোই রাজধানীতে একের পর এক হত্যা, ছিনতাই এবং চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটাচ্ছে। একটি বিশ্বসত্ম সূত্রমতে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে শঙ্কিত একটি বিশেষ মহল দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির দুরভিসন্ধি থেকেই সন্ত্রাসীদের মোটা টাকায় মাঠে নামিয়েছে ।
তবে যে কোন প্রকার ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, অস্ত্রধারী চক্রকে নিষ্ক্রিয় করতেই সাড়ে পাঁচ শতাধিক সন্ত্রাসীর নতুন তালিকা করে গোপনে পুলিশের গ্রেফতার অভিযান শুরম্ন হয়েছে।
দুবাই থেকে মোবাইলে ডাকাত শহীদ ঢাকায় তার সহযোগীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। আর প্রতি মাসে অনত্মত ৫/৬টি করে মামলার হাজিরা দিতে কোর্টে গিয়ে পিচ্চি হেলাল এবং ইমন তাদের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নির্দেশ দেয়। সন্ত্রাসীরা এখন এতটাই সিরিয়াস যে, দলের কেউ অপারেশনে যেতে না চাইলে তাকেও দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে দ্বিধা করছে না। হাজারীবাগে কেবল ব্যবসায়ী ওমর ফারম্নক ওরফে সজীবকে দলে টানার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েই ইমনের দলের লোকেরা রবিবার রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, ৭০ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার আহাম্মদ হাজী এবং একই দিনে বাবুবাজারের চাল ব্যবসায়ী আফিলউদ্দিনকে হত্যায় অভিযুক্ত ডাকাত শহীদের লোকেরাই শাঁখারী বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রেমকৃষ্ণকে চাঁদার জন্য উপযর্ুপরি গুলি করে হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।
প্রেমকৃষ্ণ হত্যার মামলায় ডাকাত শহীদ ও তার কোতোয়ালি এবং সূত্রাপুর এলাকার চাঁদাবাজির দায়িত্বে থাকা বিদু্যৎ, কাওসার এবং আগে থেকেই সন্ত্রাসী ঘটনায় কারাগারে থাকা নান্টুসহ পুরো কিলিং স্কোয়াড সরাসরি জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছে তদনত্মকারী পুলিশ কর্মকর্তারা। কাওসার ও বিদু্যৎকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। নান্টুকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার তাকে তিনদিনের পুলিশী রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। কারাগারে আটক থাকলেও এই হত্যার সঙ্গে জড়িত এবং হত্যা সংঘটিত হওয়া সম্পর্কে পুলিশকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.