২১ আগস্ট নিয়ে মুফতি হান্নানের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তিতে যা আছে পোট্রর্েট অব by জিহাদ

ফজলে নোমানী চারদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী। আওয়ামী লীগ অফিসের ছাদ এবং আশপাশের ভবনের ছাদেও পুলিশ প্রহরা। পুলিশের সদস্যরা দূরবীন দিয়েও পুরো পরিস্থিতি পর্যবেৰণ করছেন।
ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনার বক্তৃতার এক পর্যায়ে বিকট শব্দে একের পর এক গ্রেনেড বিস্ফোরিত হতে শুরম্ন করে। একটু আগেই যে ছাদে নিরাপত্তা প্রহরী দেখা গেছে সেই সব ছাদ থেকেও গ্রেনেড ছোঁড়া হয়েছে বলেই ভিডিও দেখে মনে হয়েছে। মুহূর্তেই রক্তে লুটোপুটি পুরো বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ চত্বর।
লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির নির্মিত "পোট্রর্েট অব জিহাদ" বা 'জিহাদের প্রতিকৃতি' নামের প্রামাণ্য তথ্য চিত্রে ২১ আগস্টে বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে নৃশংস ও বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার ঘটনার আগে এবং হামলা চলাকালীন দৃশ্যাবলীর পাশাপাশি এর অপারেশনাল কমান্ডার হুজি নেতা মুফতি হান্নানের পুরো জবানবন্দীটিও ধারণ করা হয়েছে। হামলার মূল পরিকল্পনা ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করা, যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনী অবসরপ্রাপ্ত মেজর নূর এবং তারেক জিয়া নিজে। এছাড়া, হারিছ চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা মুজাহিদও জড়িত ছিলেন। ৪টি গোপন বৈঠকের মাধ্যমেই ২১ আগস্ট হামলার পুরো পরিকল্পনা করা হয় হাওয়া ভবনে। ১৪ আগস্ট হাওয়া ভবনের বৈঠকের দেয়া তিনটি প্রসত্মাবের একটিকে অনুসরণ করে চালানো হয় মূল হামলা।
অত্যনত্ম সাবলীল ভঙ্গিতে দেয়া জবানবন্দীতে এই অপারেশনের মূল কমান্ডার মুফতি হান্নান নিজেই আবার অপারেশন ব্যর্থ হবার কারণও বর্ণনা করেছেন। এক ঘণ্টা ব্যাপ্তিকালের এ প্রামাণ্য দলিলে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, হুমায়ুন আজাদ, নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিন, হরকত-উল-জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান, সাবেক কয়েকজন জঙ্গী নেতা, শিবিরকর্মী, জঙ্গী নেতা বাংলা ভাইয়ের হাতে নিহতদের পরিবার, আহত ও নির্যাতিতদের সাাতকার রয়েছে। এছাড়া তিনি এই প্রামাণ্য চিত্রে, দেশে-বিদেশে জামায়াতের আর্থিক কানেকশন তুলে ধরেছেন। জামায়াতের কোন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান জঙ্গীবাদে অর্থ সাহায্য দেয়, কোন কোন হিসাব নম্বর থেকে এসব অনুদান আসে তার বিসত্মারিত দেখানো হয়েছে এখানে।
বিশেষ এক স্থানে গোপনে ধারণ করা সাাতকারে মুফতি হান্নান ফাঁস করে দেয় এক সময়ের আলোচিত 'হাওয়া ভবনে' অনুষ্ঠিত এই হত্যা পরিকল্পনার গোপন বৈঠকের কথা। কোথায় সাৰাতকারটি গ্রহণ করা হয়েছে এই বিষয়ে নির্মাতা কোন মনত্মব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, এখানে যা বলেছে এবং যা করা হয়েছে সবই রেকর্ডেড। এখানে কোন অস্পষ্টতা নেই। ঘটনার মূল বিষয়বস্তু একটি বিরাট ষড়যন্ত্র এবং জঙ্গী উপাখ্যান দেশে যে কি ভয়াবহ রূপ লাভ করেছে তাই তুলে আনার চেষ্টা মাত্র।
হাওয়া ভবনের ওই বৈঠকে সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বঙ্গবন্ধুর খুনী ফ্রিডম পার্টি নেতা মেজর নূর এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলার নৃশংস সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়। বৈঠকের সিদ্ধানত্মের বিষয়ে মুফতি হান্নান তার সাাতকারে জানায়, শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলতে হবে। তাঁকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা যাবে না। মুজাহিদ সাহেব, শেখ হাসিনাকে ইসলামের বিরম্নদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর তাঁকে দেশ থেকে চিরতরে বিদায় করে দেয়া বা শেষ করে দেয়া উচিত বলে মনত্মব্য করেন। মেজর নূর তিন রকমের পরামর্শ দেন যার মধ্যে জনসভায় আক্রমণ করে তাঁকে শেষ করে দেয়ার পদ্ধতিটিই সকলের মনঃপূত হয়। প্রামাণ্যচিত্রে পাওয়া তথ্যে আরও দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা ছাড়াও প্রয়াত লেখক হুমায়ুন আজাদের ওপর মরণঘাতী হামলা, লেখক তসলিমা নাসরিনকে নাগালে পাওয়া মাত্র হত্যা করার হুমকি, কবি শামসুর রাহমানের বাড়িতে হামলা চালানোসহ দেশের প্রগতিশীল মুক্তচিনত্মার মানুষকে নির্মূলের নীলনকশার সঙ্গে জড়িত ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। জামায়াতে ইসলামীর প্রত্য মদদ আর পৃষ্ঠপোষকতায় এ দেশে জঙ্গী মৌলবাদের উত্থান ঘটেছে। জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ওয়াজে উদ্বুদ্ধ হয়ে শত শত ছাত্রশিবির কর্মী জিহাদে শামিল হয়েছে।
২১ আগস্টে শেখ হাসিনা বেঁচে যাওয়ায় অপারেশনকে ব্যর্থ বলে ধরা হয়। অপারেশন ব্যর্থ হওয়া নিয়ে মুফতি হান্নান বলেছেন, তখন আমি আমাদের দারম্নল আরকান অফিসে ছিলাম। এর আগে ২০ আগস্ট হামলার জন্য তৎকালীন উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু তার ভাই তাজউদ্দীন, হরকত-উল-জেহাদ নেতা আবু তাহের, জান্দাল ও কাজলের কাছে ১৫টি গ্রেনেড দেন। অর্থ ও জনবল দিয়ে সবরকম সাহায্য করার ওয়াদাও তিনি দিয়েছিলেন। সকালে অফিসে ব্রিফিংয়ের পর একটি কালো ব্যাগে গ্রেনেডগুলো ভরে দুপুর ১২টায় টার্গেটের উদ্দেশে যাত্রা শুরম্ন হয়। জনসভার স্টেজ কোথায় হবে তা ঠিক ছিল না। হঠাৎ করে ভ্রাম্যমাণ স্টেজ হয়ে যাওয়ায় হামলায় কোন ডিসিপিস্নন ছিল না। হামলা কবার পর হামলাকারীরা মোবাইলে জানায় সেখানে কি ঘটেছে। অতিরিক্ত ভিড় এবং স্টেজ কোথায় তার সঠিক তথ্য না থাকাতেই মূলত হামলা টার্গেট পর্যনত্ম পেঁৗছতে ব্যর্থ হয়। সে সময় জনসভার দৰিণ ও পশ্চিম দিকে হামলাকারীরা অবস্থান নেয় এবং জামায়াতের সক্রিয় ১৫ জনের মতো হামলায় অংশ নেন বলে তিনি জানান। প্রচ- ভিড়ের কারণে কারও সঙ্গে কারও যোগাযোগ ঠিকভাবে না হওয়াতেও সমস্যা হয়েছিল। এর মধ্যেই দৰিণ দিকে হঠাৎ একটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফেলায় যে যার হাতের গ্রেনেড শূন্যে ছুঁড়ে মারা অরম্ভ করে। যে কারণে অনেক গ্রেনেডই ওপরে ফেটে যায়। তার বর্ণনা মতে, ২০-৩০টি গ্রেনেড মানুষের ওপর সঠিতভাবে আঘাত হানতে পারেনি যেগুলো ওপরেই বিস্ফোরিত হয়েছিল। একই সময় রাইফেলের গুলি চালানো হলেও হাসিনার কোন সমস্যা হয়নি বলে আমরা তখনি জানতে পারি বলে তিনি জানান। এরপর হামলাকারীরা বেরিয়ে চলে আসে।
২০০৯ সালের ২১ আগস্ট এ তথ্যচিত্রের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সাাতকার ধারণ করা হয়। তাতে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট মতায় এসে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নিরাপত্তা আইনটি বাতিল করে। তারপরই তার ওপর একের পর এক হামলা আসতে থাকে। ২০০৪ সালের একুশ আগস্ট ছিল চূড়ানত্ম হামলা। তিনি বলেন, আলস্নাহর অশেষ মেহেরবাণীতে অলৌকিকভাবে তিনি ওই হামলা থেকে বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। শত শত নেতাকর্মী পঙ্গু হয়ে এখন অসহায় জীবনযাপন করছেন। শেখ হাসিনা বলেন, জোট সরকার এবং তার ইন্টেলিজেন্সের আচরণ থেকে এটা প্রমাণ হয়েছে, সরকারই ওই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল।
প্রামাণ্য চিত্রের নির্মাতা শাহরিয়ার কবির ১০ বছর ধরে বাংলাদেশের জঙ্গী তৎপরতার ওপর কাজ করছেন। তিনি দেশ-বিদেশ থেকে সংগ্রহ করেছেন জঙ্গীদের পত্র-পত্রিকা, লিফলেট। সংগ্রহ করেছেন জামায়াত নেতা সাঈদীর ওয়াজের ক্যাসেট। গত চার বছর ধরে তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন বাংলাদেশের প্রত্যনত্ম অঞ্চলে অবস্থিত বিভিন্ন জঙ্গী আসত্মানায়। শাহরিয়ার কবির তাঁর এ প্রামাণ্যচিত্রে সংযুক্ত করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সর্বদলীয় মানবাধিকার কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লর্ড এরিক এভবরির সাাতকার। এ প্রামাণ্য চিত্রের নির্মাণ সম্পর্কে শাহরিয়ার কবির জনকণ্ঠকে বলেন, যে উগ্র মৌলবাদী জঙ্গীদের তৎপরতা ছিল বাংলাদেশে, এটা সে সময়কার শাসকগোষ্ঠী স্বীকারই করতে চায়নি। তিনি এ প্রসঙ্গে জামায়াত আমির নিজামীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দেন। নিজামী বার বার বলেছেন, 'বাংলা ভাই বলে কিছু নেই। এটা মিডিয়ার সৃষ্টি।' তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন বিএনপির নেতারা। অথচ এই প্রামাণ্য দলিলে জামায়াত-শিবিরের সাবেক ক্যাডার, কর্মী, তাদের মদদপ্রাপ্ত সাবেক জঙ্গীদের মুখ থেকেই বেরিয়ে এসেছে জামায়াত কতটা পৃষ্ঠপোষকতা করে জঙ্গী তৎপরতায়। শাহরিয়ার কবির বলেন, তিনি দেশে-বিদেশে জামায়াতের আর্থিক কানেকশনটি তুলে ধরেছেন, জামায়াতের কোন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান জঙ্গীবাদে অর্থ সাহায্য দেয়, কোন কোন হিসাব নম্বর থেকে এসব অনুদান আসে তার বিসত্মারিত দেখানো হয়েছে এখানে।
জামাতের জেহাদে উদ্বুদ্ধ করার বিষয়টি জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির ও হরকত-উল-জেহাদের সাবেক কর্মী হাসান রফিক, লিবিয়া ফেরত সাবেক জঙ্গী নেতা শাকিল জেহাদীর জবানীতে বেরিয়ে এসেছে। জামায়াতের সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী ও আবু তাহের তাদের জঙ্গী প্রশিৰণ দিতেন বলে তারা জানান। শাহজাহান চৌধুরী বলতেন, জেহাদ আর অস্ত্রের জন্য প্রয়োজনে চীন যেতে হবে। শাকিল জেহাদের সাাতকারটি নেয়া হয় ২০০৬ সালে। ওই সাাতকারে সে বলে, জামায়াতে ইসলামীর সার্টিফিকেট নিয়ে সে লিবিয়া যায় জঙ্গী ট্রেনিং নিতে। ফাঁসিতে নিহত জঙ্গীনেতা শায়খ আবদুর রহমানের মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা সম্পর্কে শাকিল জানায়, জামায়াতের অনুমোদন ছাড়া এ দেশের কেউ মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায় না। শাকিল জানায়, এখনও শত শত জামায়াত-শিবির কর্মীকে লিবিয়া জঙ্গী ট্রেনিং দিয়ে যাচ্ছে। এশিয়া এবং আফ্রিকার অনেক দেশের জঙ্গী তৎপরতার সঙ্গে লিবিয়ার যোগাযোগ রয়েছে।
শাহরিয়ার কবির তাঁর প্রামাণ্য চিত্র 'জিহাদের প্রতিকৃতি' (পোর্ট্রেট অব জিহাদ) সম্পর্কে বলেন, এখানে তার বক্তব্য নেই বললেই চলে। তিনি এর সঙ্গে সম্পৃক্তদের মুখ থেকে বের করে আনতে চেয়েছেন প্রকৃত সত্য ঘটনা। তিনি বলেন, তাঁর এ কাজে সাবেক কিছু জঙ্গী নেতা, কর্মী, শিবিরকর্মী তাঁকে সহায়তা করেছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার দৃশ্য দিয়ে শুরম্ন 'জিহাদের প্রতিকৃতি' নামক প্রামাণ্য চিত্রের। আর শেষ কুষ্টিয়ার লোক গায়ক নিজামউদ্দিনের 'এমন মানব সমাজ কবে গো সৃজন হবে/যবে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান জাতিভেদ নাহি রবে'_ এই গান দিয়ে। এসব সংগ্রহে চট্টগ্রামের নাই্যংছড়ি, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি আর রাজশাহীর প্রত্যনত্ম এলাকায় গিয়ে বছরের পর বছর কাজ করেছেন তিনি। রোহিঙ্গা সলিডারি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সাবেক কর্মীদের ইন্টারভিউ করেছেন। সেই সঙ্গে আছে লস্কর-ই-তৈয়্যবা ও জামা'আতুল মুজাহিদীনের কর্মীদের সাাতকার। শাহরিয়ার কবির বলেন, জামায়াত নেতা নিজামীর ফুটেজ নেয়া হয়েছে টিভি থেকে। জিহাদের প্রতিকৃতি নির্মাণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, একুশে আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা, চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান আটক, যশোরে উদীচীর সমাবেশে বোমা হামলা, রমনা বটমূলে হামলা, হুমায়ুন আজাদকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালানো, কবি শামসুর রাহমানের ওপর হামলাসহ সব অশুভ ঘটনার পেছনে যে ৭১-এর যুদ্ধাপরাধীরা কাজ করছে এটাই উঠে এসেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলে এদেশে এমন ঘটনা ঘটত না বলেও তিনি মনত্মব্য করেন।
জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইনুদ্দিন খান বাদল বুধবার এই ভিডিও চিত্রের বিষয়টি প্রত্যৰ করে এ বিষয়ে জাতীয় সংসদে প্রশ্ন তোলেন। তারেক জিয়া জড়িত এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কিনা তাও জানতে চান। বৃহস্পতিবার সাংসদ রাশেদ খান মেনন সংসদে বিষয়টি উত্থাপন করেন বলে জানা যায়। এ বিষয়ে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট কোন বক্তব্য জানা জায়নি। আগামী ফেব্রম্নয়ারি মাসের আগেই এই ভিডিও চিত্রটি জনগণের প্রদর্শনীর জন্য বাজারে ছাড়া হচ্ছে বলেও তথ্য মিলেছে।

No comments

Powered by Blogger.