ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, দুর্ঘটনার শঙ্কা

খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের গুইমারা বাজারসংলগ্ন বেইলি সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সেতুটির এই করুণ অবস্থা হয়েছে। শিগগিরই এটি সংস্কার করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের খাগড়াছড়ি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সেতুটি আশির দশকে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর বেইলি সেতুর মেয়াদ সাধারণত ১৫-২০ বছর ধরা হয়। সে হিসাবে এর মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে এই সেতুর যন্ত্রাংশও পাওয়া যায় না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর স্টিলের পাটাতনগুলো যাতে যান চলাচলের সময় নড়াচড়া করতে না পারে সে জন্য বালুর বস্তা রাখা হয়েছে। বালুর বস্তা রাখায় সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের জায়গা কমে গেছে। এর পরও এটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক শ যানবাহন চলাচল করছে।
গুইমারা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, গত বর্ষায় তিনবার সেতুটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পরে সওজের কর্মকর্তারা অস্থায়ীভাবে মেরামত করে। প্রায়ই এর পাতাটন খুলে পড়ে, সেতুর লোহার পাত বাঁকা হয়ে যায়। বিশেষত কাঠ, বাঁশ ও লোহাবোঝাই ট্রাক এবং বড় বাস সেতুর ওপর উঠলে এটি দুলতে থাকে। একই বাজারের ব্যবসায়ী মালেক সিকদার বলেন, বর্তমানে সেতুর যে অবস্থা তাতে হেঁটে যেতেও ভয় লাগে।
বাসচালক কানু সরকার বলেন, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের খাগড়াছড়ি অংশে বেশ কয়েকটি বেইলি সেতু আছে। এগুলোর মধ্যে গুইমারা সেতুর অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
সওজের খাগড়াছড়ি কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন বলেন, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের ১৪টি বেইলি সেতুর অবস্থা খারাপ। এগুলোর স্থানে পাকা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে গুইমারা বেইলি সেতুটিও পড়েছে। সেতুটি নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আপাতত ওই সেতুর ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.