ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

গ্রাম-বাংলা থেকে যখন হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী তালগাছ ঠিক সেই সময় ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন রাসত্মায় হাজার হাজার তালগাছ লাগিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুল হক। পদ্মপুকুর গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল হক দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে স্ব-উদ্যোগে বিভিন্ন রাসত্মার দুই ধারে তালগাছ লাগিয়ে আসছেন।
এ পর্যনত্ম তিনি পত্নীতলা উপজেলার পদ্মপুকুর থেকে কাঁটাবাড়ী, ফইমপুর থেকে উজিরপুর, সড়ক ও জনপথ মোড় থেকে কাঞ্চন ও পার্বতীপুর রাসত্মায় ১৫ কিঃমিঃ এলাকা জুড়ে প্রায় ১২ হাজার তালগাছ লাগিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা সাপাহার মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সবুর জানান, নজিপুর ইউপির স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান আজিজুল হক দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন গ্রামের কিশোরদের ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলার সামগ্রী কিনে দিয়ে তাদের মাধ্যমে তালের আঁটি সংগ্রহ করেন এবং বিভিন্ন রাসত্মায় নিজেই এগুলো রোপণ করেন। এলাকা সরেজমিনকালে দেখা গেছে, বিভিন্ন রাসত্মার দুই পাশে শোভা পাচ্ছে আজিজুল হকের লাগানো সারি সারি তালগাছ। এসব গাছের মধ্যে অনেক গাছই এখন ফল দিতে শুরম্ন করেছে। এ গাছগুলোর ফল থেকে সুবিধা পাচ্ছে এলাকাবাসী। ভাদ্র মাসে কারও বাড়িতে জামাই-মেয়ে এলে তাদের তালের পিঠা খাওয়ানোর জন্য হন্যে হয়ে তাল খুঁজতে হয় না এলাকার লোকজনকে। আজিজুল হকের লাগানো গাছের তাল দিয়েই অনায়াসে মেটানো যায় সেই প্রয়োজন। এ তালগাছগুলো থেকে সংগৃহীত জ্বালানি বিক্রির টাকা দান করা হয় স্থানীয় মসজিদ ও বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে। পদ্মপুকুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক আবু এমরান জানান, আজিজুল হক ছোটবেলা থেকেই বৃ প্রেমিক ও প্রকৃতিদরদী। তার এই বৃ প্রেম থেকেই তিনি প্রায় ১৩ বছর আগে ব্যক্তি উদ্যোগে তালগাছ রোপণ শুরম্ন করেন।
এক সময় নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামের আনাচে-কানাচে এবং বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের পাশে সারি সারি তালগাছ শোভা পেতে দেখা যেত। কিন্তু সেই দৃশ্য আর চোখে পড়ে না। বিলুপ্তপ্রায় এ উপকারী বৃকে টিকিয়ে রাখার জন্যই তালগাছ রোপণ করা শুরম্ন করেন বলে জানিয়েছেন আজিজুল হক।
_বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ

No comments

Powered by Blogger.