লবণ মেশালে পানি দ্রম্নত ফোটে

লবণের গুণাগুণের কথা আমরা কমবেশি সবাই জানি। লবণ ছাড়া কোন খাবারই সুস্বাদু হয় না, আবার লবণের মাত্রা বেশি হলে তা বিস্বাদ লাগে। তবে লবণের আরও একটি গুণের কথা জানা গেছে বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
তাতে বলা হয়, পানি দ্রম্নত গরম করতে চাইলে সেখানে একটু লবণ ছেড়ে দিলেই হলো, অপোকৃত কম সময়ে পানি ফুটতে শুরম্ন করবে। গবেষণায় বলা হয়, ২০ শতাংশ লবণ যোগ করলে পানির স্ফুটনাঙ্ক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস বাড়বে। বিজ্ঞানীরা বলেন, বিষয়টি খুবই পরিষ্কার, দেখা গেল লবণ যোগ করার সঙ্গে সঙ্গে পানি ফোটার মাত্রা বেড়ে গেছে। পানিতে বুদবুদের পরিমাণও বেড়ে যায়। লবণের দানা আসত্মে আসত্মে মিশে যাওয়ার মধ্য দিয়ে এই পরিবর্তন সূচিত হয়। পানি ফোটার বিষয়টি অনুভব করা যায় এর উপরিভাগ দেখে। পানির অণুর ছোটাছুটি সেখানেই বেশি দৃষ্টিগোচর হয়। অতিমাত্রায় উষ্ণ হওয়ার এক পর্যায়ে পানি বাষ্পীয় উপাদানে পরিণত হতে থাকে। লবণ মেশানো পানির েেত্র এই পরিবর্তন দ্রম্নত ঘটবে। লবণ পানির রাসায়নিক গঠনেও পরিবর্তন আনে। আমরা জানি, দুটি হাইড্রোজেন এবং একটি অক্সিজেন অণু মিলে পানি হয়। পানিতে যখন উচ্চমাত্রার সেডিয়াম কোরাইড (লবণ) আয়ন যোগ করা হয় তখন পানির কথাগুলো পজিটিভ সোডিয়াম আয়নের আকর্ষণে এর চারপাশে জড়ো হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পানির দ্বিতীয় সত্মরের কণা তৈরি হয়। এভাবেই পানির অবকাঠামো হাইড্রোজেনে রূপানত্মরিত হয়। নেগেটিভ কোরাইড আয়নের চারপাশে আবার বিপরীত ঘটনা ঘটে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই বিভাজিত পানি আর আগের মতো মিশে থাকা গ্যাসের আকারে থাকতে পারবে না। এভাবে লবণ যখন পানি মেশানো হয় তখন গ্যাসের ুদ্র বুদবুদ বের হতে থাকে। খালি চোখে এই বুদবুদ দেখা যায় না। এই আণুবিণিক বুদবুদ অর্থাৎ পরমাণুর পুঞ্জীভূত অংশ বাষ্প আকারে দ্রম্নত ছড়িয়ে পড়বে, যদি পানি তখন সর্বোচ্চ স্ফুটনাঙ্কে থাকে।
যাই হোক, পানি সাধারণ স্টোভ বা চুলা কিংবা মাইক্রোওয়েভের মাধ্যমে গরম করা যেতে পারে। তাছাড়া লবণ কখন কিভাবে কোন অবস্থায় মেশাতে হবে, সেটিও গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়। লবণ মেশানোর কার্যকারিতার পেছনেও এগুলো ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। যেমন ঠা-া পানিতে এবং গরম পানিতে স্বভাবতই একরকম ফল হবে না। আবার স্টোভ কিংবা মাইক্রোওয়েবে এর ফলও হবে ভিন্ন রকমের।
তাসনুভা এ পূর্ণা
সূত্র : সায়েন্স ডেইলি

No comments

Powered by Blogger.