মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বাকসংযম করুন by বাহাউদ্দীন চৌধুরী

ছাত্রলীগের দুই পরে কোন্দলে আরও একটি তাজা প্রাণ ঝরে গেল। সন্তানহারা হলেন এক দরিদ্র মা। প্রাণ দিতে হলো সাধারণ ছাত্র আবু বকর ছিদ্দিককে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এএফ রহমান ছাত্রাবাসে মাথায় আঘাত পেলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দুদিন পর বকর মারা যান। ওই রাতে বকরের ক েঅবস্থানকারী তার সহপাঠীরা দাবি করেছে, তার মাথায় পুলিশের ছোড়া গুলি লেগেছে। পুলিশ বলেছে, তারা ওই রাতে কোন গুলি করেনি। টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়েছে। আর চিকিৎসকরা বলেছেন, বড় ধরনের আঘাতে বকরের মাথার পেছনের হাড় ভেঙ্গে গেছে। এর আগে ক্যাম্পাসে ২০০৪ সালে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে সংগঠনটির নেতা মাহবুবুল আলম ওরফে খোকন মারা যায়। এবার প্রশ্নবিদ্ধ ছাত্ররাজনীতির করুণ শিকার হলো এক সাধারণ ছাত্র। আবারও মৃত্যুর কালিমায় কলঙ্কিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
আবু বকর ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। থাকত হলের ৪০৪ নম্বর ক।ে প্রথম দুই বছরের ফলাফলে তার অবস্থান ছিল প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয়। তবে তৃতীয় সেমিস্টারে সে রেকর্ড নম্বর পেয়েছিল।
আবু বকরের মৃতু্যর খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে ুব্ধ হয়ে ওঠে তার সহপাঠীসহ সাধারণ শিার্থীরা। সকাল ১০টা থেকে তারা ক্যাম্পাসে বিােভ মিছিল ও ভাংচুর শুরম্ন করে। পুলিশ বাধা দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়।
ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস (টিয়ার শেল) নিপে করে। দুপুর একটা পর্যন্ত পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে।
ঘটনার দিন আহত অবস্থায় আবু বকরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। চার ঘণ্টা ধরে চলে তার অস্ত্রোপচার। গুজব ছড়িয়ে পড়ে, আবু বকর মারা গেছে। ওই দিন বিকেলে একবার জ্ঞান ফেরে তার। তবে রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিকরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক শফিকুল আলম বকরকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকেরা জানান, মাথার পেছনের অংশে বড় ধরনের আঘাতের কারণে সৃষ্ট 'সাব-ডিউরাল হ্যামারেজে' বকরের মৃতু্য হয়েছে।
উপাচার্য মিডিয়াকে বলেছেন, যেভাবেই হোক, আমি এটাকে হত্যাকা-ই বলব। আমি বরাবরই ছাত্ররাজনীতির প।ে কিন্তু ছাত্র রাজনীতির নামে মাসত্মানি চলতে দেয়া যায় না। তিনি জানান, এ ঘটনায় একটি তদনত্ম কমিটি করা হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে এ কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। দোষী ব্যক্তিদের কঠোর শাসত্মি দেয়া হবে।
উপাচার্য বলেন, 'আবু বকরকে আমরা ফিরিয়ে দিতে পারব না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কতর্ৃপ তাঁর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে।' স্বপ্নের ছায়ায় অনটনের আগুন নেভাতে চেয়েছিল আবু বকর।দিনমজুর বাবা আ মুদি দোকানদার ভাইকে বকর বলতো 'আর একটা বছর তোমরা কষ্ট কর। আমি পাস করে বের হলে ভাল চাকরি হবে। তোমাদের আর এত কষ্ট করতে হবে না।' গত ডিসেম্বরে কোরবানির ঈদে বাড়িতে গেলে ছোট ভাই ওমর ফারম্নককে নিজের স্বপ্নের কথা বলে এভাবে আশ্বসত্ম করেছিল আবু কবর সিদ্দিক। দশম শ্রেণীর ছাত্র ফারম্নকের কান্না তাই বাধ মানে না। 'আমার ভাই তো কোন দল করত না। মারামারি করতেও যায় নাই। তারপরও কেন তাকে মরতে হলো?'
পত্রিকায় দেখলাম ছেলের মৃতু্যর খবর শুনে মা রাবেয়া বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। চেতনা ফিরলেই বিলাপ, 'আমার বাবা কনে চইলা গেল, বাবারে আইনা দেও।' টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ী গ্রামের দিনমজুর রোসত্মম আলীর তিন ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে আবু বকর তৃতীয়। বাড়িজুড়ে দারিদ্র্যের ছাপ। ভাঙাচোরা বাঁশের বেড়ার দুটি ঘর।
বাবা রোসত্মম আলী বলেন, 'আমি দিনমজুর মানুষ। বড় ছেলে আব্বাস আলী গোলাবাড়ী বাজারে ছোট একটি মুদির দোকান করে। ছেলের মা মুরগি পালন ও ডিম বিক্রি করে টাকা দিত বকরকে। তারপরও খরচ কুলাত না। তাই বন্ধের সময়ে বাড়িতে এসে বকরও ৰেতখামারে দিনমজুরি করত।'
একজন সম্ভাবনাময় মেধাবী তরম্নণের মৃতু্যতে সারা দেশ শোকাচ্ছন্ন। সেই সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, "এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এটা কোন ব্যাপার নয়। এমনটি ঘটতেই পারে। তবে আমরা কি পদপে নিচ্ছি সেটাই বড় কথা।" তার এই মনত্মব্যে সবাই হতভম্ব। তিনি যেন বিএনপি আমলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেনের ছায়া। সন্ত্রাসীদের হাতে একটি শিশুর মৃতু্য উপল েআলতাফ হোসেন বলেছিলেন, "আলস্নাহ'র মাল আলস্নাহ নিয়েছে।" তখন আওয়ামী লীগ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল। বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মনত্মব্যেরও তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। তার এই দায়িত্বহীন মনত্মব্যে সরকারের ভাবমূর্তি ুণ্ন হয়েছে। অবশ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে, তিনি এমন কথা বলেননি। কিনত্ম এ কথা কেউ বিশ্বাস করেনি।
নিহত আবু বকরের ভাই মুদি দোকানদার আব্বাস আলী বলেছেন, "মনে হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হত্যা করা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কার বিরম্নদ্ধে অভিযোগ করব? কার কাছে বিচার চাইব? ওপরওয়ালা আছেন; তিনি সব দেখবেন।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক-শিার্থীরাও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যে গভীর হতাশা ব্যক্ত করেছে। তারা মনে করে, এই বক্তব্যের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ করা উচিত। কয়েকজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরম্নল ইসলাম মিডিয়ায় বলেছেন, 'অনেক দিন ধরেই ছাত্রলীগের সন্ত্রাস ও ভর্তিবাণিজ্য চলছে। সরকার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এমন একটি মর্মানত্মিক মৃতু্যকে কোনভাবেই বিচ্ছিন্ন বলার সুযোগ নেই। যে মায়ের বুক খালি হয়েছে, তিনিই জানেন এর কষ্ট। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন কথা বললে তা তো অপরাধীদের পইে যায়। আমার বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আনত্মরিক হবেন।'
আবু বকর যে বিভাগের ছাত্র সেই বিভাগের চেয়ারম্যান মোঃ আখতারম্নজ্জামান বলেন, 'মন্ত্রী কোন্ দৃষ্টিভঙ্গিতে এ কথা বলেছেন তা তিনিই জানেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্র অকালে মারা গেল, এর চেয়ে বড় ব্যাপার আর কী হতে পারে। আমরা দ্রম্নত এ ঘটনার সুষ্ঠু তদনত্ম ও বিচার দাবি করছি।' একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, 'প্রথম সেমিস্টার থেকে পঞ্চম সেমিস্টার পর্যনত্ম প্রতিটি বর্ষেই আমি ওর কোন না কোন কোর্সের শিক ছিলাম। এমন সম্ভাবনাময় ছেলে সচরাচর আসে না। এমন একটি ছেলের মৃতু্য নিয়ে দেশের মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি এভাবে কথা বলেন, তাহলে তা কেবল অশোভনই নয়, অপমানজনকও।'
আমরা মনে করি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অবশ্যই দুঃখ প্রকাশ করা উচিত। কেবল তাইই নয়, তাকে বাকসংযম করার অনুরোধ করব। এই কলামেই আমি বিডিআর বিদ্রোহ ও অন্যান্য সমস্যা মোকাবেলায় তাঁর সাহস ও দৰতার প্রশংসা করেছি। এখন আমিও হতাশা এবং ব্যথিত হয়েছি। হত্যাকারীদের শনাক্ত করে কঠোরতম শাসত্মির ব্যবস্থা অত্যনত্ম দ্রম্নত করতে হবে। অভিযোগ হয়েছে যে, পুলিশের টিয়ারগ্যাস শেলের আঘাতে ছাত্রটি মারা গেছে। অবশ্য পুলিশ সূত্র তা অস্বীকার করেছে। কিন্তু নিহত আবু বকরের কৰে টিয়ারগ্যাস শেলের ভাঙ্গা অংশ পাওয়া গেছে। কৰের অন্যান্য ছাত্র দাবি করেছেন, টিয়ারগ্যাস শেলের আঘাতেই তার মৃতু্য হয়েছে।
গত বছর ছাত্রলীগের অভ্যনত্মরীণ কোন্দলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রলীগ নেতা নিহত হয়। দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রলীগ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকা-সহ চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি করে যাচ্ছে। সম্প্রতি সরকারী কলেজসমূহে তারা ভর্তি বাণিজ্য শুরম্ন করেছে। কলেজের অসহায় শিৰকবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী প্রচ-ভাবে ৰুব্ধ। ছাত্রলীগের কর্মকা- সম্পর্কে তদনত্ম করার জন্য কয়েকজন নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রীর পদ থেকে সরে যান। তাতেও ছাত্রলীগ হুঁশিয়ার হয়নি। এই সরকার ৰমতায় আসার অব্যবহিত পরেই ছাত্রলীগ দুর্দমনীয় হয়ে ওঠে।
বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিৰাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী কর্মকা- শুরম্ন করে। ওই সময়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকা- নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধের চেষ্টা করেছিলেন বলে আমরা শুনেছিলাম, কিন্তু কোন ফল হয়নি।
গত বছর ফেব্রম্নয়ারির মাঝামাঝিতে আবার ছাত্রলীগের একাধিক পৰ বেপরোয়া সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত এবং শিৰকদের বাসভবনে ভাংচুর হয়েছিল। এমন আরও ঘটনা ঘটেছিল। আমরা তখন এসব সন্ত্রাসীর বিরম্নদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের হুঁশিয়ারিমূলক 'নির্দেশ' শুনেছি বারবার।
আমাদের মনে আছে, সেদিন (১৯ ফেব্রম্নয়ারি) ঢাকার পল্টন ময়দানে ছাত্রলীগের ৬১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলৰে পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন প্রধান অতিথি। তিনি তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, ছাত্ররাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কর্মকা- ও চাঁদাবাজি চলতে দেয়া হবে না। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ছাত্র হোক আর যে-ই হোক; আইন অমান্য ও চাঁদাবাজি করলে গ্রেফতার করা হবে, শাসত্মি দেয়া হবে, সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সেই হুঁশিয়ারি কোন কাজে আসেনি। কারও বিরম্নদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাঁর কথাও শোনেনি ছাত্রলীগ। বরং ফেব্রম্নয়ারির পর মার্চ আর এপ্রিলে ছাত্রলীগ আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
ছাত্রলীগের অভ্যনত্মরীণ কোন্দলের জের ধরে সশস্ত্র সংঘাতের ফলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে দুটি হত্যাকা- ঘটেছিল। ১৩ মার্চ (২০০৯) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংস ঘটনার পর শহরের সব শিৰা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়েছিল ঢাকা ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ। তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিসত্মারের লড়াই আর চটগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তা-ব চালাচ্ছিল ছাত্রলীগ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অস্ত্র নিয়ে নেমে পড়ছিল বারবার। সে সময় খুলনা, সিলেট ও পটুয়াখালীর শিৰাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও ঘটে সহিংস ঘটনা।
ওই সব সন্ত্রাসী ঘটনার পর শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রীর পদ ছেড়ে দেন। ৪ এপ্রিল আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সভা শেষে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ সিদ্ধানত্মের কথা জানিয়েছিলেন সংবাদ মাধ্যমকে। একই সঙ্গে ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের বিরম্নদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন। কিন্তু এর পরও বন্ধ হয়নি ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকা-, চাঁদা আর টেন্ডারবাজি; বরং সারাদেশে এসব আরও ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপকভাবে।
গত এক বছরে প্রকাশিত হয়েছে দেশব্যাপী ছাত্রলীগের নেতা ও কর্মীদের ১২১টি ছোট-বড় সন্ত্রাসী ঘটনার খবর। সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু বকরের মৃতু্য।
এই কলামে ইতোপূর্বেও আমি ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণ করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রীকে। আবারও সেই একই অনুরোধ জানাচ্ছি। কেবল স্নেহের শাসনে ছাত্রলীগ সংযত হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ছাত্রলীগ ইতোমধ্যেই এই সরকারের উজ্জ্বল ভাবমূর্তির অপূরণীয় ৰতি করে তাতে কলঙ্কের কালিমা লেপন করেছে। এই অবস্থা কিছুতেই চলতে দেয়া যায় না।
লেখক : ভাষা-সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাবেক সচিব

No comments

Powered by Blogger.