ড্রিমলাইনারের ত্রুটি তদন্তে জাপানে মার্কিন বিশেষজ্ঞরা

যান্ত্রিক গোলযোগ, বিশেষত ব্যাটারির ত্রুটির কারণে জাপানে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেলের একটি বিমানের জরুরি অবতরণ করার ঘটনা তদন্তে টোকিও গেছেন মার্কিন বিমান বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে জাপানি তদন্ত কর্মকর্তাদের গতকাল শুক্রবার প্রকাশ করা একটি ছবিতে ওই ড্রিমলাইনারের ব্যাটারি কার্যত পুড়ে কালো হয়ে যেতে দেখা গেছে। বিমানটির জরুরি অবতরণের পর বিশ্বব্যাপী এই মডেলের অর্ধশত বিমানের চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জাপানি তদন্তকারীদের সহায়তা করতে গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের বিমান সংস্থা ও বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের একটি বিশেষজ্ঞ দল টোকিও পৌঁছে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
গত বুধবার জাপানের বিমান সংস্থা অল নিপ্পন এয়ারওয়েজের অভ্যন্তরীণ পথের বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার যাত্রীবাহী বিমানটি জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। অবতরণের আগে ব্যাটারির ত্রুটি নির্দেশ করে বিমানের সতর্ক বাতিগুলো সংকেত দেওয়া শুরু করে।
জাপানের পশ্চিমে তাকামাতসু বিমানবন্দরে বর্তমানে পার্ক করে আছে বিমানটি। এর ত্রুটি তদন্তে জাপানি কর্মকর্তাদের সাহায্য করছে ইউএস ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও বোয়িং কোম্পানির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
জাপানের জিএস ইউয়াশা করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান ড্রিমলাইনারের ব্যাটারি প্রস্তুত করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তারাও ওই তদন্তে সহায়তা করতে তাদের তিনজন প্রকৌশলীকে তাকামাতসু বিমানবন্দরে পাঠিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যাটারিকে অকারণে বিতর্কিত করা হচ্ছে। অথচ এটি বিমান চালনার পুরো ব্যবস্থার একটি অংশ হিসেবে কাজ করে। সে জন্য এই ব্যবস্থার ঠিক কোথায় ত্রুটি রয়েছে, সেটি নির্ণয়ের চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।’
অল নিপ্পন এয়ারওয়েজের বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার যাত্রীবাহী বিমানটি জরুরি অবতরণে বাধ্য হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। অনেক বিমান সংস্থা তাদের এই মডেলের বিমানের ফ্লাইট বাতিলঘোষণা করে। এএফপি ও আল-জাজিরা।

No comments

Powered by Blogger.