আইনপ্রণেতা হত্যার জের- করাচি ও হায়দরাবাদ অচল

বন্দুকধারীদের গুলিতে আইনপ্রণেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানের বাণিজ্যিক রাজধানী করাচি গতকাল শুক্রবার কার্যত অচল হয়ে যায়। আতঙ্কে দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলেনি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ছিল বন্ধ। অফিস-আদালতে উপস্থিতি ছিল কম।
সিন্ধু প্রদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হায়দরাবাদের চিত্রও ছিল অভিন্ন। করাচির মতো সেখানেও দোকানপাট খোলেনি, স্কুল-কলেজ ছিল বন্ধ। লোকজন রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে আইনপ্রণেতা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানায়।
গত বৃহস্পতিবার করাচি শহরের ওরাঙ্গি এলাকায় বন্দুকধারীদের গুলিতে মারা যান মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের আইনপ্রণেতা মানজার ইমাম (৪২)। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁর তিনজন দেহরক্ষীও নিহত হন। এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতেও করাচিতে জাতিগত ও রাজনৈতিক সহিংস ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন নিহত ও প্রায় ৩০ জন আহত হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। এমকিউএম বর্তমানে সিন্ধু প্রদেশের ক্ষমতায় রয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন জোটের অন্যতম শরিক দল।
মানজার ইমামের ওপর হামলার দায়িত্ব তালেবান স্বীকার করেছে এবং দলটির ওপর আরও হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে। তেহরিক-ই-তালেবানের মুখপাত্র এহসানউল্লাহ এহসান টেলিফোনে এএফপিকে বলেন, ‘এমকিউএমের জন্য এটা প্রথম উপহার। আমরা করাচির জনগণকে আশ্বস্ত করছি, তাদের শিগগিরই এমকিউএমের কবল থেকে রক্ষা করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমকিউএম একটি ধর্মনিরপেক্ষ দল এবং তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের হামলা চলবেই।’
ইসলামাবাদ ছেড়েছেন কাদরি: তেহরিক-ই-মিনহাজুল কোরআনের নেতা তাহির উল কাদরি লংমার্চ ও লংমার্চ-পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে ইসলামাবাদ ত্যাগ করেছেন। গতকাল শুক্রবার লাহোরে পৌঁছে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, লংমার্চ সফল হয়েছে। এ জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ। তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এএফপি ও জিও টিভি।

No comments

Powered by Blogger.