ডাকসু নির্বাচনের স্বার্থে শানত্মিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে সংসদে শিৰামন্ত্রী

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদসহ (ডাকসু) সকল হল সংসদের নির্বাচনের চিনত্মাভাবনা চলছে। এ ব্যাপারে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কতর্ৃপৰ ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে এ বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন। ডাকসু নির্বাচনের স্বার্থে ক্যাম্পাসে সকল ছাত্র সংগঠনকেই শানত্মিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান শিৰামন্ত্রী নুরম্নল ইসলাম নাহিদ। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, সরকারী বেতন-ভাতা গ্রহণকারী সকল বেসরকারি মাদ্রাসায় শতকরা ২০ ভাগ মহিলা শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালা অনুসরণ না করলে সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠান ও নিয়োগদানকারী কর্তৃপক্ষের বিরম্নদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
সরকারী দলের আসাদুজ্জামান খান কামালের প্রশ্নের জবাবে শিৰামন্ত্রী ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখতে সকল ছাত্র সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষে ক্যাম্পাসের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তবে ডাকসু নির্বাচনের জন্য শানত্মিপূর্ণ পরিবেশ গুরম্নত্বপূর্ণ।
এ সংক্রানত্ম সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রভাব ফেলতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের বিভিন্ন শিৰা প্রতিষ্ঠানকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্রছাত্রী সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ বিঘি্নত হতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ছাত্র-শিক্ষক সকলেই সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকবেন। তাহলে সকল প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন করা সম্ভব হবে।
শিৰামন্ত্রী জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বেসরকারী মাদ্রাসাগুলোতে মহিলা শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০ ভাগ সংরক্ষিত শিক্ষক পদ রাখার বিধান রয়েছে। এটা কার্যকর করার জন্য ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাদ্রাসাগুলো মহিলা শিক্ষক সংরক্ষণের ক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করে নিয়োগ দিচ্ছে। তবে এ ৰেত্রে কোন অনিয়ম হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
অনেক শিৰা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে বই না পেঁৗছানো প্রসঙ্গে শিৰামন্ত্রী বলেন, বই ছাপানোর আগেই মন্ত্রণালয় থেকে সব শিৰা প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সে তালিকা ও চাহিদা অনুসারে বই ছাপানো হয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে কোন কোন প্রতিষ্ঠান বই পায়নি। এ নিয়ে অনেক বিভ্রানত্মিও ছড়ানো হয়েছে। তিনি জানান, সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত যেসব শিৰা প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত না হওয়ার কারণে বই পায়নি, তাদের কাছে বই পাঠানো হবে।
সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে শিৰামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে উপজেলা পর্যায়ে কানো কলেজ বা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং দেশের কোন বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সরকারীকরণের পরিকল্পনা সরকারের নেই। তিনি জানান, দেশে মোট ১৪৭টি সরকারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় আছে। এসব শিক্ষার্থী প্রতি মাসে মাথাপিছু ৯৭৩ টাকা এবং বছরে ১১ হাজার ৬৮৬ টাকা ব্যয় হয়। মন্ত্রী জানান, স্নাতক পর্যনত্ম অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে আর্থিক সংশিস্নষ্টতার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে মাধ্যমিক সত্মরে অবৈতনিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
প্রশ্ন-উত্তর পর্বে সমাজকল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোসত্মফা শহীদ জানান, ২০০৪ সালে বিআইডিএস-এর সমীক্ষা অনুযায়ী দেশে পথ শিশুর সংখ্যা ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭২৮ জন। তবে কোন জরিপ না হওয়ায় দেশে বর্তমানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুর সংখ্যা কত তা নির্ধারণ হয়নি বলে তিনি জানান।

No comments

Powered by Blogger.