অর্থনীতিতে বিমার বিনিয়োগ সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা

২০১১ পঞ্জিকাবর্ষে দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে বেসরকারি বিমা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের পরিমাণ ২৬.৬৩ শতাংশ বেড়ে ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। যা ২০১০ সালের তুলনায় ৩ হাজার ৪৬৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বেশি।
দেশের বিমা কোম্পানিগুলোর সংগঠন ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিআইএ)
২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এ তথ্য দেওয়া হয়। বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রদত্ত তথ্যমতে, এর আগের পঞ্জিকাবর্ষে দেশের অর্থনীতিতে বিমা কোম্পানিগুলোর মোট বিনিয়োগ ছিল ১৩ হাজার ২৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে জীবন বিমা কোম্পানির ১১ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা এবং সাধারণ বিমা কোম্পানির এক হাজার ৭১০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

আর ২০১১ সালে বেসরকারি সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২৬১ কোটি ২১ লাখ টাকা, জীবন বিমা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ ১৪ হাজার ২৩২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

বিমা কোম্পনিগুলোর প্রিমিয়াম আয়ের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ নির্ধারিত কিছু খাতে বিনিয়োগ করা যায়, এর মধ্যে সরকারি বন্ড, পুঁজিবাজার, ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট ও রিয়েল এস্টেট খাত উল্লেখযোগ্য।

বিআইএ’র সভাপতি শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সংগঠনের সাবেক চেয়ারম্যান এম. মঈদুল ইসলাম, মেঘনা লাইফ ও কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহমেদ, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ্ আবুল কাশেম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ২০১১ সালে বিমা কোম্পানিগুলো বিমার প্রিমিয়াম বাবদ আয় করে ৭ হাজার ৭৩৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেসরকারি সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলো এক হাজার ৭২৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা ও জীবন বিমা কোম্পানির প্রিমিয়াম আয় ছিল ছয় হাজার ৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

আলোচ্য পঞ্জিকাবর্ষে বেসরকারি জীবন বিমা খাতের লাইফ ফান্ডের আকার ২০১১ সালে ২১.১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৬ হাজার ৩৪৯ কোটি ২৬ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে, এর আগের বছর এ ফান্ডের আকার ছিল ১৩ হাজার ৪৯২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

আর ২০১১ সালে সকল বেসরকারি সাধারণ ও জীবন বিমা কোম্পানির সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ১২৭ কোটি ৭০ লাখ টাকায় উন্নিত হয়েছে। এর মধ্যে জীবন বিমা কোম্পানির মোট সম্পদ ১৮ হাজার ৯২১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, সাধারণ বিমা কোম্পানির ৪ হাজার ২০৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

সাধারণ সভায় শেখ কবীর হোসেন বলেন, বাংলাদেশের ইন্স্যুরেন্সের আইন এবং রুলস যথাযথ প্রয়োগে নতুন রেগুলেটরি অথরিটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

যা দেশের বিমা খাতের বিরাজমান সমস্যা সমাধান হবে করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বিমা শিল্পের প্রবৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য পেশাগত দক্ষ কর্মকর্তা, আধুনিক ব্যবস্থাপনা, বিক্রয় কৌশল এবং নতুন বিমা পণ্য উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিতে কোম্পানিগুলোর প্রতি অনুরোধ করেন।

No comments

Powered by Blogger.