পুলিশের জন্য তিন বছর মেয়াদি কৌশল পরিকল্পনা প্রকাশ

পুলিশ বাহিনীর জন্য অপরাধ ও গোয়েন্দাসংক্রান্ত একটি তথ্যভান্ডার এক বছরের মধ্যে গড়ে তোলা হবে। পুলিশের ব্যবহার করা সব ফরম চলে যাবে অনলাইনে। সব জেলা ও মহানগরে অনলাইন ও মোবাইলে পুলিশি সেবাও পাওয়া যাবে। এ ছাড়া দুই বছরের মধ্যে অপরাধভীতিও কমিয়ে আনা হবে। সড়ক দুর্ঘটনার মামলা তদন্তের ক্ষমতা পাবেন সার্জেন্টরা।
পুলিশ বাহিনীর জন্য তিন বছর মেয়াদি একটি কৌশল পরিকল্পনায় এসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এ কৌশল পরিকল্পনা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
পুলিশ সংস্কার প্রকল্পের সহায়তায় প্রায় দুই বছর ধরে ৩০০ জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা এ পরিকল্পনা কৌশল প্রণয়নে অংশ নেন। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট এতে সহায়তা করেছে। সিআইডির উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সাইফুল আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি এ জন্য কাজ করেছে।
অনুষ্ঠানে কৌশল পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সিআইডির ডিআইজি সাইফুল আলম ও অতিরিক্ত ডিআইজি মাহবুবুর রহমান। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত ডিআইজি আতিকুল ইসলাম এর বিস্তারিত তুলে ধরেন।
পরিকল্পনায় বলা হয়, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আরও পেশাদারি প্রদর্শন ও যুগোপযোগী তদন্ত করা হবে। পাশাপাশি তদন্তে অযথা সময় নষ্ট না করার দিকে জোর দেওয়া হবে। এর সঙ্গে তদন্তসম্পর্কিত ও অপরাধীদের সম্পর্কে পুলিশ সদর দপ্তর, র্যা ব, এসবি ও সিআইডিতে তথ্যব্যাংক রাখা হবে। যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনাকে আরও ঢেলে সাজানো হবে।
প্রধান অতিথির ভাষণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, অর্থ পাচার ও সাইবার অপরাধ দমনে পুলিশের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, এ পরিকল্পনায় মানবাধিকার বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রসচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমেদ বলেন, কৌশলগত পরিকল্পনায় পুলিশের জন্য প্রশিক্ষক দল তৈরি এবং গুণগত মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়টি বড় করে দেখা হয়েছে।
পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, পুলিশের দক্ষতা, গুণগত মান বৃদ্ধি, অপরাধ কমিয়ে আনা ও জনগণের আরও কাছাকাছি যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নতুন এ কৌশল পরিকল্পনা করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.