গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী উড়ালসেতু পরিদর্শন শেষে নানক-হরতালের মতো বড় বাধা না থাকলে ২৬ মার্চ চালু হবে

হরতালের মতো বড় কোনো বাধা না থাকলে এবং নির্বিঘ্নে নির্মাণকাজ করা গেলে আগামী ২৬ মার্চ গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী উড়ালসেতু চালু হবে। গতকাল বুধবার দুপুরে ‘মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার’ এলাকা পরিদর্শন শেষে এক সংক্ষিপ্ত সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এ ঘোষণা দেন।
গতকাল দুপুরে প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কর্মকর্তারা যাত্রাবাড়ী পয়েন্ট থেকে কুতুবখালী, সায়েদাবাদসহ সংলগ্ন এলাকায় উড়ালসেতুর ওপরের অংশ ঘুরে দেখেন। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, উড়ালসেতুর কাজ ইতিমধ্যে ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
পরিদর্শন শেষে গোলাপবাগে অবস্থিত উড়ালসেতু প্রকল্প কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছু দিনের মধ্যেই পাঁচটি হরতাল হয়েছে। হরতালের কারণে উড়ালসেতুর নির্মাণকাজ বাধাগ্রস্ত হয়।
উড়ালসেতুর বিষয় বিবেচনায় এনে হরতাল না দেওয়ার জন্য বিরোধী দলসহ অন্যদের প্রতি আহ্বান জানাবেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আহ্বান জানালেও তারা শুনবে কেন? তারা তো দেশের উন্নয়ন চায় না।’ নানক বলেন, ২০১০ সালের জুন থেকে ২০১৩ সালের জুন হচ্ছে এই উড়ালসেতুর নির্মাণ সময়। তার পরও নির্বিঘ্নে কাজ করা গেলে নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগে অর্থাৎ ২৬ মার্চ জনগণের জন্য এই উড়ালসেতু খুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এই উড়ালসেতু নির্মাণে একটি বড় বাধা ছিল বিভিন্ন সেবা সংস্থার লাইনগুলো সরিয়ে নেওয়া। দেশের সবচেয়ে জনবহুল ও যানবহুল এই এলাকার সেবালাইন সরিয়ে নেওয়া দুরূহ ব্যাপার। ঢাকা ওয়াসা, তিতাস গ্যাস কোম্পানি, ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিসহ (ডিপিডিসি) বিভিন্ন সেবা সংস্থার বিভিন্ন পাইপ, কেব্ল লাইন সরাতেই অতিরিক্ত ১১ মাস সময় লেগেছে। সায়েদাবাদের কাছে জনপথ এলাকায় ওয়াসার একটি বিশাল স্ল্যাব ও পাইপলাইন সরাতে বেগ পেতে হয়েছে।
‘মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার’ পিপিআর প্রকল্পের বিনিয়োগকারী ওরিয়ন ইনফাস্ট্রাকচার লিমিটেড। সহযোগিতা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

No comments

Powered by Blogger.