ছাত্রনেতা হলেই ধনী-চার নেতার প্রতিবাদ

গতকাল বুধবার কালের কণ্ঠে 'ছাত্রনেতা হলেই ধনী' এবং 'ছাত্রলীগ সোনার ডিম পাড়া হাঁস' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এ কে এম এনামুল হক শামীম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
প্রতিবাদে তাঁরা বলেছেন, তাঁদের জড়িয়ে ভিত্তিহীন তথ্য ও অনৈতিক অভিযোগ এনে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এতে তাঁদের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
এনামুল হক শামীম বলেছেন, ১৬ বছর আগে তিনি ছাত্ররাজনীতি ছেড়েছেন। তিনি কখনোই টেন্ডার বা চাঁদা বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না এবং এখনো নেই। বর্তমানে তিনি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য। তাঁর স্ত্রীও চাকরিজীবী। দুজনের আয় দিয়েই তাঁদের সংসার চলে। সততার কারণে ১/১১-এর সরকার তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অবৈধ সম্পদের মামলা দিতে পারেনি। অযথা হয়রানির জন্য দুদক দুঃখ প্রকাশ করে তাঁকে চিঠি দিয়েছে।
শামীম আরো জানান, তিনি কখনোই বুড়িগঙ্গা সেতুর টোলের টেন্ডার নেননি এবং তাঁর বিলাসবহুল গাড়িও নেই। তাঁরা পারিবারিকভাবেই ঢাকার বাসিন্দা এবং সচ্ছল পরিবারের সদস্য। গৌরবোজ্জ্বল ছাত্ররাজনীতির কারণেই তিনি জাকসুর ভিপি, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
লিয়াকত শিকদার, বদিউজ্জামান সোহাগ ও সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেন, তাঁরা ব্যক্তি জীবনে বিত্ত-বৈভবের মালিক নন। টেন্ডারবাজি, কমিটি বাণিজ্য, তদবিরবাজি ইত্যাদির সঙ্গেও জড়িত নন। ব্যক্তিগত জীবনে তাঁদের কোনো সম্পদ নেই। কোনো অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত থেকে অবৈধ অর্থ উপার্জনের প্রমাণ কেউ দিতে পারলে রাজনীতি থেকে চিরবিদায় নেবেন- চ্যালেঞ্জ করে তাঁরা এসব কথা বলেছেন।
বদিউজ্জামান সোহাগ বলেছেন, তিনি মা ও ভাইয়ের সঙ্গে বসবাস করেন। তাঁর নিজস্ব কোনো সম্পদ নেই।
সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেছেন, তিনি একটি ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করছেন। তিনি ব্যক্তি জীবনে বিত্ত-বৈভবের মালিক নন।

No comments

Powered by Blogger.