দিনাজপুরে শতভাগ স্যানিটেশন অর্জন নিয়ে অনিশ্চয়তা

দিনাজপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৩ উপজেলার একটিতেও সহকারী প্রকৌশলী নেই। মাত্র পাঁচজন উপসহকারী প্রকৌশলী দিয়ে চলছে ১৩ উপজেলার কাজ। ফলে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, ২০১৩ সালের মধ্যে শতভাগ স্যানিটেশন কার্যক্রম অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জেলা জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জনবলকাঠামো অনুযায়ী প্রতিটি উপজেলায় একজন সহকারী প্রকৌশলী এবং একজন করে উপসহকারী প্রকৌশলী থাকার কথা। কিন্তু কোনো উপজেলাতেই সহকারী প্রকৌশলী নেই। জেলার ফুলবাড়ী, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর, বিরল, বোচাগঞ্জ, বীরগঞ্জ ও খানসামা উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে কর্মকর্তা নেই। সদর, বিরামপুর, পার্বতীপুর, চিরিরবন্দর ও কাহারোলে কাজ করছেন পাঁচজন উপসহকারী প্রকৌশলী। ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুরে বিরামপুরের কর্মকর্তা এবং ফুলবাড়ী ও নবাবগঞ্জে পার্বতীপুরের উপসহকারী প্রকৌশলীরা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সহকারী প্রকৌশলীর (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলাগুলোতে কর্মকর্তার পাশাপশি অন্যান্য পদেও পর্যাপ্ত লোকবল নেই।
পার্বতীপুর উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহমান জানান, স্যানিটেশনের জন্য এলাকা জরিপ, দরিদ্র ও হতদরিদ্র পরিবার শনাক্তকরণ ও তাঁদের বিনা মূল্যে ল্যাট্রিন সরবরাহ করা, সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার কাজ করতে হয়। কিন্তু কর্মকর্তা ও পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় সঠিকভাবে ও সময়মতো এসব কাজ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ফলে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ২০১৩ সালের মধ্যে দিনাজপুর জেলায় শতভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিত করা অসম্ভব।
জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের দিনাজপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু জার মো. মাছউদার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিটি উপজেলায় একজন করে সহকারী প্রকৌশলী ও উপসহকারী প্রকৌশলীর পদ রয়েছে। কিন্তু কোনো উপজেলাতেই সহকারী প্রকৌশলী নেই। অপরদিকে ১৩ উপজেলার মধ্যে মাত্র পাঁচটিতে উপসহকারী প্রকৌশলী আছেন। এই লোকবল দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে শতভাগ স্যানিটেশন বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।

No comments

Powered by Blogger.