খবর শুধু খবর নয় by নিয়ামত হোসেন

একই স্ত্রীকে ২২ বার বিয়ে! মানুষ বিয়ে করে একবার বা একাধিকবার। প্রতিবারই বিয়ে হয় নতুন পুরুষ বা নতুন নারীর সঙ্গে। কিন্তু একই স্বামী কি একই স্ত্রীকে বার বার বিয়ে করে? সে রকম শোনা যায় না। কিন্তু ব্রিটেনের এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বার বার নানা দেশে গিয়ে সেসব দেশের রীতিতে বিয়ে করছেন।


স্বামীরও যে শখ, স্ত্রীরও তাই। দু’জনে একের পর এক বিয়ে করে চলেছেন। এরই মধ্যে তাঁরা এক বছরে ২২ বার বিয়ে করে ফেলেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত এক খবর থেকে জানা গেল এ কথা।
ভদ্রলোকের নাম এ্যালেক্স পেলিং। স্ত্রীর নাম লিসা গ্র্যান্ট। বাড়ি এঁদের বিলাতের ইয়র্কশায়ারে। এঁদের আসল বিয়ে অর্থাৎ প্রথম বিয়ে হয় পশ্চিম ম্যাঞ্চেস্টারে। এতে তাঁদের মন যেন ভরেনি। বিয়ে তাঁদের পেয়ে বসে। বিয়ে করতে থাকেন একের পর এক। এরপর বিয়ে করেন কোস্টারিকা এবং পেরুতে গিয়ে। হাওয়াই দ্বীপের বিয়ের রীতি অনুযায়ী বিয়ের পোশাকে পাতা ও ফুলের সজ্জা এবং ডলফিন সঙ্গে করে স্বামী-স্ত্রী পুনরায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর বিয়ে করেন লসএঞ্জেলেসে ভ্যাম্পায়ারের সাজে। ইকুয়েডরে গিয়ে মন্ত্র পড়ে বিশেষ এক কূপের পাশে বিয়ে করেন তারা। তারপর দক্ষিণ আমেরিকার বিয়ের পোশাকে বিয়ে করেন কলম্বিয়ায়। এরপর চলতে থাকে তাঁদের বিয়ে এল সালভাদর, লাস ভেগাস, ব্রাজিল, মেক্সিকো, চিলি, গুয়াতেমালা ও কানাডায় গিয়ে সেসব দেশের পুরনো রীতি অনুযায়ী বিয়ে করেন এই দম্পতি।
নানা দেশে নানা রীতিতে বিয়ে করার এই বুদ্ধি প্রথমে আসে স্বামী এ্যালেক্সের মাথায়। তিনি স্ত্রী লিসাকে বিষয়টি খুলে বললে লিসা সোৎসাহে বিষয়টি মেনে নেন। এদের মধ্যে পরিচয় ১১ বছরের। মাঝে প্রেমের পর্যায় ছিল ৬ বছর। তারপর প্রথম বিয়ে। এঁদের বক্তব্য, এঁরা ধনী নন, উপার্জন করেন অল্প। কিন্তু তাতেই তাঁরা সুখী।
পশ্চিমা দেশগুলোয় বিয়ে যেমন হয় তেমনি বিয়ে ভেঙ্গেও যায় অর্থাৎ বিচ্ছেদও ঘটে। বিবাহ বিচ্ছেদ সেসব দেশের এক বড় ধরনের সামাজিক প্রবণতা হিসাবে দাঁড়িয়ে গেছে। সেসব দেশে বহু পুরুষ এবং নারী বিবাহ বিচ্ছেদের পর একাধিক বিয়েও করে। কিন্তু একই দম্পতি বার বার বিয়ে করে এমনটা এই প্রথম যেন শোনা গেল। বিষয়টি নতুন। নিত্যদিনের একঘেয়েমি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য হয়ত এই দম্পতি একই স্বামী একই স্ত্রীকে এবং একই স্ত্রী একই স্বামীকে নানা রীতিতে বিয়ে করছেন। কবির ভাষায় তাঁদের মনের কথা যেন : ‘তুমি নব নব রূপে এসো প্রাণে...।’

মানুষের কামড়ে সাপের মৃত্যু!
সাপ মানুষকে কামড়ায়। এটাই বিশ্বের নানা দেশের মানুষ জানে বিশেষ করে জানে দেশে দেশে গ্রামের মানুষ। কিন্তু মানুষ সাপকে কামড়ায় এমন কথা কেউ কখনও শোনেনি। তাও আবার প্রতিশোধের কামড়, অর্থাৎ সাপ মানুষকে কামড়ালে তার প্রতিশোধ নিতে সাপকে কামড়ানো সেটা যেন এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। সেই ঘটনাই ঘটেছে সম্প্রতি। প্রকাশিত এক খবর থেকে জানা গেল সে কথা।
ঘটনাটা ঘটেছে নেপালের এক গ্রামে। সেখানকার এক বাসিন্দা মোঃ সালমো মিয়া জমিতে কাজ করছিলেন। হঠাৎ তাঁকে কামড়াল এক সাপ। যে সে সাপ নয় একেবারে গোখরো সাপ। খুব রাগ হলো সালমো মিয়ার। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ধরে ফেললেন সাপটাকে। তারপর দিলেন একটা কামড় বসিয়ে তার গায়ে। তারপর এক কামড়ে রাগ পড়ল না কামড়ের পর কামড় বসাতে লাগলেন সাপটির গায়ে। মনের ভাবটা তাঁর যেন এই রকম : আর কামড়াবি! দেখ ব্যাটা কামড় কাকে বলে! সালমো মিয়ার রাগ কমে না। কামড়াতে কামড়াতে এমন অবস্থা করলেন যে এক সময় সাপটির দেহ নিথর হয়ে পড়ল। মারা গেল সাপটি। প্রতিশোধ আর কাকে বলে! বোকা সাপটি হয়ত বুঝতে পারেনি, এক কামড়ের ফল তাকে এভাবে পেতে হবে। বুঝলে সে সালমো মিয়ার কাছ থেকে শত হাত দূরে থাকত! অন্য সাপরা যেমন মানুষকে কামড়ায় সেও তেমনি ছোবল দিয়েছিল একটা। কামড় দেয়া সাপকে কেউ ঢিল ছুড়ে মারে, কেউ লাঠি দিয়ে মারে। আর পালাতে পারলে তো বেঁচেই গেল। কিন্তু কামড়ের বদলে কামড়! এমন কথা ওরা সর্পজন্মে কখনও দেখেওনি। ভাবেওনি!
সাপের কামড়ে বহু দেশে বিশেষ করে এদেশের গ্রাম এলাকায় বহু লোক মারা যায়। সাপের দংশনের জ্বালা কতখানি তা দংশিত ব্যক্তিই কেবল বুঝতে পারে, ‘কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে, কভু আশী বিষে দংশেনি যারে।’
নেপালের ঐ ব্যক্তিকে আগে কোন সাপ কামড়ে ছিল কিনা তা অবশ্য খবরে জানা যায়নি। কামড়াক বা না কামড়াক, এবার সাপের কামড় খেয়ে তিনি সাপটাকে বুঝিয়ে দিলেন দ্যাখ কামড় কাকে বলে আর কামড়ের কি জ্বালা। জীবন দিয়ে হয়ত সাপটি বুঝতে পারল তা!

No comments

Powered by Blogger.