বিচারককে গ্রেপ্তারের নির্দেশ-নাশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

একজন জ্যেষ্ঠ বিচারককে অবৈধভাবে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ায় মালদ্বীপের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের বিরুদ্ধে গত রবিবার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। গত জানুয়ারিতে ফৌজদারি আদালতের প্রধান বিচারক আবদুল্লাহ মোহাম্মদকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন নাশিদ। সরকারের মুখপাত্র মাসুদ ইমাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে নাশিদের তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে কিংবা তাঁকে ভারত মহাসাগরের কোনো প্রত্যন্ত দ্বীপে নির্বাসনে পাঠানো হতে পারে।
তবে নাশিদ গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের যে অভিযোগ আনা হয়েছে এর কোনো ভিত্তি নেই। ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি কোনো অবৈধ কাজ করেননি। এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে লড়াই চালিয়ে যাওয়ারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
মালদ্বীপে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন নাশিদ। গত জানুয়ারিতে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও দুর্নীতির অভিযোগে ফৌজদারি আদালতের প্রধান বিচারক আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নাশিদ। বিচারককে আটকের পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারিতে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তবে নাশিদের অভিযোগ, সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাঁকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়েছে। মালদ্বীপের সংবাদ সংস্থাগুলো নাশিদের বরাত দিয়ে বলেছে, 'অভিযোগ প্রত্যাহার করবেন না। ক্ষমতায় থাকাকালে আমি বেআইনি কিছুই করিনি। তাই এসব অভিযোগের মুখোমুখি হতেও ভয় পাই না।' বিবিসি জানিয়েছে, মালদ্বীপের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের দাবিতে নাশিদের মালদ্বীপিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি) এক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করছে। এ বছরই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চায় তারা। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.