মালদ্বীপে বিশ্ববিদ্যালয়-জ্ঞানের প্রসারে সহযোগিতা

মালদ্বীপে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদ ও বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঠিক করা হয়েছে 'ইউনিভার্সিটি অব মালদ্বীপ'। উল্লেখ্য, মালদ্বীপে বর্তমানে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই।


মালদ্বীপ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী হয়ে বন্ধুপ্রতিম দেশ বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছে। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য বিষয়টি গর্বের। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মালদ্বীপে একটি ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। এর মধ্যে কারিকুলাম নির্ধারণ, ফ্যাকাল্টি ও একাডেমিক কার্যক্রম চালুর জন্য কারিগরি সহযোগিতা করা হবে। এ ধরনের উদ্যোগ প্রমাণ করে, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোতে বাংলাদেশের শিক্ষা কারিকুলামের গুরুত্ব বাড়ছে। তবে পাশাপাশি এ ধরনের উদ্যোগ দেশের শিক্ষাঙ্গন নিয়ে নতুন করে ভাবার দায়িত্বকে বাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করা হচ্ছে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখার মান কমে যাচ্ছে। অসুস্থ রাজনীতির চর্চা, দীর্ঘ সেশনজট, ঠিকমতো ক্লাস না হওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। অন্য একটি দেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করার পাশাপাশি নিজের দেশের এই সমস্যাগুলো নিয়ে ভাবা দরকার বলে আমরা মনে করি। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই কেবল অন্য আরেকটি দেশে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সহযোগিতার যৌক্তিকতা পাওয়া যায়। মালদ্বীপে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সহযোগিতা সফল হলে সামনে আরও সুযোগ তৈরি হবে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশেও বাংলাদেশের মডেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ বাড়বে। মালদ্বীপে স্থাপিত হতে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের শিক্ষকরা ক্লাস নেওয়ার সুযোগ পাবেন। সামগ্রিকভাবে এটি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য ইতিবাচক। তবে আমাদের নিজেদের প্রস্তুতিকে শানিত করার প্রয়োজন রয়েছে। তাহলেই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার সুনাম ছড়াবে প্রতিবেশী দেশগুলোতে। এর মাধ্যমে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তোলা যাবে। জ্ঞানের প্রসারে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের যৌথ উদ্যোগ সফল হোক।
 

No comments

Powered by Blogger.