তেহরানের পরমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি-ইরানকে বিরত রাখতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করা হবে: হিলারি

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা থেকে বিরত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে। কীভাবে এই শক্তি প্রয়োগ করা যায়, তা নিয়ে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে ‘পরামর্শ’ করছে।


২৪ ঘণ্টার ইসরায়েল সফর শেষে জেরুজালেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হিলারি বলেন, ‘ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির উচ্চাকাঙ্ক্ষা এখনো ত্যাগ করেনি। দেশটিকে পারমাণবিক বোমা তৈরি থেকে বিরত রাখতে আমরা সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করব।’
হিলারির এই মন্তব্যের অর্থ হলো, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র থেকে বিরত রাখতে তেহরানের ওপর সামরিক ব্যবস্থা নেওয়া থেকেও বিরত থাকবে না ওয়াশিংটন।
হিলারি আটটি দেশ সফর শেষে গত রোববার রাতে ইসরায়েলে পৌঁছান। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগদার লিবারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন।
পারমাণবিক বোমার সক্ষমতা অর্জন করতে পারলে ইরান ইসরায়েলের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠবে স্বীকার করলেও তেহরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানোর বিষয়টি নাকচ করে দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক। হিলারির সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ইরান বিষয়ে আমরা আপনাদের অবস্থান সমর্থন করি। ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের গভীরতা ও অঙ্গীকারের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’
সিরিয়া প্রসঙ্গে হিলারি বলেন, সিরিয়ায় সহিংসতা বন্ধে নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপনের জন্য একটি নতুন প্রস্তাব তৈরিতে তাঁরা কঠোর পরিশ্রম করছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি আরব লিগের বিশেষ দূত কফি আনানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি এবং দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম কাউন্সিলের প্রধান হুসেন তানতাওয়ির সঙ্গে বৈঠকে আলোচিত বিষয় নিয়ে ইসরায়েলি নেতাদের জানান হিলারি। তিনি জানান, মিসরের নতুন প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গে মিসরের স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তিকে সমর্থন করবে। ইসরায়েল-মিসর শান্তিচুক্তিকে তিন দশকের বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার মেরুদণ্ড বলে উল্লেখ করেন তিনি। মিসর প্রসঙ্গে হিলারি বলেন, দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তবে দেশটির অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনা আবার চালু প্রসঙ্গে হিলারি বলেন, দুই পক্ষই যদি শান্তির জন্য কঠোর পরিশ্রম করে, তাহলে ফের আলোচনা শুরু হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো একটি শান্তিপূর্ণ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পাশে নিরাপদ একটি ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে থাকবে ইসরায়েল।’ হিলারি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সহ আমরা এই দুই পক্ষের সরাসরি আলোচনা শুরুর জন্য সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’ বিবিসি, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.