ক্যামেরাবন্দি অপরাধ-সাবধান, অন্য চোখ রয়েছে!

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা যে সক্রিয় সেটা জানা ছিল না দুই পকেটমারের। রোববার তারা নির্বিঘ্নে এক ব্যক্তির ব্যাগ কেটে কিছু টাকা হাতিয়ে নেয়। অলক্ষ্যে যে যন্ত্র-দেবতা হাসছে সেটা তারা বুঝতেই পারেনি।


ব্যাংক কর্তৃপক্ষের গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ে এ পিকপকেটিংয়ের ঘটনা এবং তা সঙ্গে সঙ্গেই নজরে আসে স্ক্রিনে চোখ রাখা এক বা একাধিক ব্যক্তির। দ্রুতই বিষয়টি গেটের নিরাপত্তা কর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেও পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাৎক্ষণিক_ প্রধান ফটক বন্ধ হয়ে যায়। অতঃপর পকেটমার দু'জনের আর নিষ্কৃতির উপায় থাকে না। তাদের ধরা পড়তে হয় বমাল অর্থাৎ টাকাসহ। কিছু উত্তম-মধ্যমের পর তাদের স্থান হয় পুলিশের গাড়ি হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা শেষে থানা-কোর্ট ঘুরে মামলা কত দূর গড়ায় সেটা অবশ্য সাধারণের জানার উপায় তেমন থাকে না। তবে এ ক্ষেত্রে অপরাধের প্রমাণ রয়েছে ক্যামেরাবন্দি। পকেটমার দু'জন অপরাধ অস্বীকার করতে পারবে না। আসামিদের বাঁচানোর জন্য কারও চেষ্টা থাকলেও সেটা সফল হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো আরও অনেক স্থানে ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তাতে অপরাধও হয়তো ধরা পড়ে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হয় না। এ ধরনের যন্ত্র স্থাপন করা হলে স্ক্রিনের ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখার প্রয়োজন পড়ে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এ ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তারা তাৎক্ষণিক গেট বন্ধ করতে না বললে অপরাধীদের খুঁজে পাওয়া সহজ হতো না। প্রধান ফটকের কর্মীরাও সক্রিয়তার পরিচয় দিয়েছেন। যেসব প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ক্যামেরা রয়েছে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেবে বলে আশা করব। ব্যয়বহুল ক্যামেরা স্থাপন করেই যেন দায়িত্ব শেষ হয়ে না যায়। এজন্য দক্ষ কর্মী নিয়োগ করতে হয় এবং তাদের সদাতৎপর থাকা চাই। চোর-ডাকাত-পকেটমাররাও নিশ্চয়ই এ ঘটনা থেকে এই বার্তা পেয়ে যাবে যে, হাতেনাতে ধরা পড়ার নানা উপায় এখন অনেক স্থানে রয়েছে। নির্বিঘ্নে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পরও রেহাই না-ও মিলতে পারে_ কে কখন দেখে ফেলে কে জানে!

No comments

Powered by Blogger.