নাফিজার স্বপ্নের চরিত্র by মীর সামী

নাফিজা যেখানেই যান নিজের হাসির প্রশংসা কানে ভেসে আসে। নাফিজার সবচেয়ে বড়গুণ হলো_ তিনি সবসময় হাসতে পারেন। তার সামনে কেউ গোমরা মুখে থাকতে পারে না। মজার বিষয় হলো, ইদানীং তাকে হাস্যরসাত্মক গল্পের নাটকেই বেশি দেখা যায়। এ কথা মেনে নিয়ে তিনি বললেন, 'অন্য আটদশজন শিল্পীর মতো আমারও বৈচিত্র্যময় চরিত্রে কাজ করার ইচ্ছে হয়। প্রশ্ন হলো, এখন নাটক বা টেলিছবিতে তেমন চরিত্র ক'টিইবা থাকে। নির্মাতারাই আমার কাছে


হাস্যরসাত্মক গল্পের চিত্রনাট্য নিয়ে আসেন। সমস্যা হলো, কেউ কোনো একটি চরিত্রে একটু ভালো অভিনয় দেখালেই তেমন চরিত্র ঘরে আসতে থাকে বেশি।' নাফিজার ভালো লাগে সাহিত্যনির্ভর নাটকের কাজ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নারী চরিত্রগুলোই তার স্বপ্নের চরিত্র। তার স্বপ্ন, একদিন নিশ্চয়ই সেগুলোর কোনো একটিতে অভিনয়ের সুযোগ পাবেন। এখন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তাকে ৮-১০টি ধারাবাহিক নাটকে দেখা যাচ্ছে। এ তালিকায় উল্লেখযোগ্য 'রূপকথা', 'নো প্রবলেম', 'ডটকম ফ্যান্টাসি', 'নটআউট' প্রভৃতি। এ ছাড়া হাতে আছে প্রায় ডজনখানেক এক পর্বের নাটকের কাজ। ধারাবাহিকের চেয়ে একঘণ্টার নাটকে অভিনয় বেশি উপভোগ করেন তিনি। 'একপর্বের নাটকে কাজ করতে আমার যে কী ভালো লাগে তা বলে বোঝাতে পারব না। কিন্তু এখন ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের কারণে এক পর্বের কাজ করার তেমন সময় পাই না।' বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকের কাজ থাকায় কয়েকমাস হলো সদা হাস্যোজ্জ্বল মেয়ে নাফিজা জাহানের অবসর নেই। আজ উত্তরা, না হয় কাল পুবাইল ছুটতে হচ্ছে। এতকিছুর পরও তিনি ক্লান্ত নন। 'কাজ করতে পারাটাই আমার কাছে অনেক আনন্দের। তবে সবসময় যে কাজ করতে ভালো লাগে তা কিন্তু নয়। মাঝে মাঝে মনে হয়_ ধুর ছাই! এত কাজ করে কী হবে! কিছুক্ষণ পর মনে হয়_ নাহ! আমি কাজ করতে এসেছি নিজের তাগিদে। আর ভক্তদের কথা মনে হলেই সব কষ্ট যেন ভুলে যাই। ভক্তদের এত ভালোবাসা, আমার আজকের এ পরিশ্রমের ফসল বলতে হয়। গত এক মাসের মধ্যে শুধু নতুন বছরের প্রথম দিন অবসর পেয়ে সারাদিন ঘরে বিশ্রাম নিয়েছি।'
ব্যক্তিগত জীবনে আড্ডা আর হৈ-হুল্লোড়ে মেতে থাকতে ভালো লাগে নাফিজার। 'ক্যামেরার সামনে থাকলে আমি খুব সিরিয়াস। তখন নিজেকেও ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করি না। আর যখন শুধু নাফিজা তখন কিন্তু ভীষণ খামখেয়ালি। মজা আর আনন্দটাই আমার মূল লক্ষ্য

No comments

Powered by Blogger.