নেপালের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী- বাংলাদেশ চায় প্রতিবেশীরা নৌবন্দর ব্যবহার করুক

কূটনৈতিক রিপোর্টার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি বলেছেন, বাংলাদেশ চায় তার ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী নেপাল ও ভুটান দেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করুক। দু’দেশ কবে বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহন করবে- তা দেখতে সবাই উদগ্রীব। গতকাল ঢাকায় নব নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত হরিকুমার শ্রেষ্ঠা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েসের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেন ঢাকায় প্রথম আসা এ রাষ্ট্রদূত। সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নেপাল যাতে তাদের আমদানি-রপ্তানি ও ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে পারে এজন্য বিরল থেকে রাধিকাপুর পর্যন্ত রেললাইন মাল্টিগেজে রূপান্তর করা হচ্ছে। দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্পটি এগিয়ে চলছে। এ বছরের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে রাষ্ট্রদূতকে মন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন। রেললাইন পুরোদমে চালু হলে নেপাল বাংলাদেশের মধ্য দিয়েই সহজে কার্গো পরিবহন করতে পারবে। মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, নেপালের রেল ট্রানজিটের জন্য জরুরি চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর টু ভারতের সিঙ্গাবাদ রেল সড়ক ব্যবহারে দেশ দু’টির মধ্যে এমওইউ সম্পাদিত হয়েছে। ওই রুট ব্যবহার করে আমদানি করা ৫০ হাজার টন সার নেপাল গেছে। মন্ত্রী বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে কাস্টম সুবিধা বাড়ানোর বিষয়টি রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। একই সঙ্গে দেশটির সপ্তকুশি নদীতে নির্মিতব্য জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ১০০০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির আগ্রহের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন। দীপুমনি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপকালে দেশটির চলমান শান্তি প্রক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বিষয়টি তার সরকার গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানান। তিনি আশা করেন, নেপালের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা এবং সংবিধান প্রণয়নে দেশটির জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।

No comments

Powered by Blogger.