আশরাফুলের সঙ্গে বাকযুদ্ধ এক ম্যাচ নিষিদ্ধ তামিম

স্পোর্টস রিপোর্টার: আশরাফুল আর তামিম-বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে উজ্জ্বল দুই তারকা। নক্ষত্র বললেও বাড়িয়ে বলা হবে না। রেকর্ড বুকে অনেকবার পাওয়া যাবে তাদের নাম। কিন্তু সামপ্রতিক সময়ে দু’জনই রানখরায় ভুগছেন। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ টেস্ট স্কোর আশরাফুলের। কনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানও তিনি। সাবেক অধিনায়কও। তামিম ইকবাল সাবেক অধিনায়ক। লর্ডসে সেঞ্চুরিয়ান। উইজেডেন ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত। এ বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে ঢাকার আশরাফুল খেলছেন ওল্ড ডিওইচএস দলে আর তামিম খেলছেন ভিক্টোরিয়ায়। গতকাল মাঠে মুখোমুখি হয়েছিলেন তারা। খেলাটি ছিল সোমবারের কিন্তু বৃষ্টির বাগড়ায় গতকাল হয় বাকি অংশ। খেলার একপর্যায়ে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন এই দু’জন। কথা চালাচালি থেকে হাতাহাতি হওয়ার উপক্রম হয়। তামিমের রাগ এতটাই চড়ে গিয়েছিল যে, আরেকটু হলে তিনি হয়তো আশরাফুলের গলা টিপে ধরতেন! কপাল ভাল, আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত ও আনিসুর রহমান আশরাফুলকে সরিয়ে দিয়েছিলেন।
তুচ্ছ একটি ঘটনা ঘিরে এমন লঙ্কাকাণ্ড বেধে যাবে- ভাবাও যায়নি। ঘটনার সূত্রপাত মাঠের বাইরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফয়সাল হোসেন ডিকেন্সের এলবিডব্লিউ আউট নিয়ে ওল্ড ডিওএইচএস’র ক্রিকেটাররা আপত্তি করলে ভিক্টোরিয়ার তাঁবু থেকে তাদের ক্রিকেট কমিটির সভাপতি লুৎফর রহমান বাদল উত্তেজিত হয়ে বাজে মন্তব্য করেন। আশরাফুল ওই দৃশ্য আম্পায়ারকে দেখালে ক্ষুব্ধ হন ভিক্টোরিয়ার ব্যাটসম্যান তামিম। এককথায়, দু’কথায় তামিম ইকবাল আশরাফুলের দিকে তেড়ে যান।
খেলার মাঠে অসংযত আচরণের দায়ে তামিমকে পরের ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। ভিক্টোরিয়ার ক্রিকেট কমিটির সভাপতি লুৎফর রহমান বাদলকেও একম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরে ভুল বুঝতে পেরেছেন তামিম। উপলব্ধি হয়েছে তার বড় ভাইয়ের সমতুল্য আশরাফুলের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারের ওপর ওভাবে চড়াও হওয়া ঠিক হয়নি। বলেন- ‘এটা ঠিক আমি অনেক আক্রমণাত্মক ছিলাম, যা হয়েছে তা খেলার মাঠেই থাকবে। খেলা শেষে আমি আশরাফুল ভাইয়ের কাছে দুঃখ (সরি!) প্রকাশ করেছি। আমার সঙ্গে যে ক’জন ক্রিকেটারের সুসম্পর্ক আছে আশরাফুল ভাই তাদের একজন। আমিও নিশ্চিত আশরাফুল ভাই ওই ঘটনা মনে রাখবেন না।’
তামিমের দাবি- আশরাফুলই আগে অশালীন হয়েছে, ‘আমি উনাকে বলেছি, ভাই মাঠের বাইরে যা হয় হোক আমরা ক্রিকেট খেলি। জবাবে তিনি আমাকে খারাপ কথা বলেন। এরপরই না আমি রেগেছি। একজন সিনিয়র ক্রিকেটারের তো কথাবার্তায় দায়িত্বশীল হওয়া উচিত- তাই না।’
আশরাফুলের বক্তব্য অবশ্য ভিন্ন- ডিকেন্স ভাই আউট হয়ে চলে যাওয়ার সময় ভিক্টোরিয়ার ড্রেসিংরুম থেকে  বেরিয়ে বাদল ভাই গালাগাল দিচ্ছিল। আমি এটা আম্পায়ারকে দেখাতে গেলে তামিম এতে আপত্তি তোলে। এরপর কথা কাটাকাটি হয়। সাকিব তখনই আমার কাছে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সরি বলেছে। অথচ তামিম বলে, সরি বলার কিছু নাই। যদিও খেলা শেষে সরি বলেছে।
অপ্রীতিকর ওই ঘটনা আশরাফুলও মাঠের ভেতরেই রাখতে চান। আমি ওটা ভুলে গেছি। খেলার মাঠে অনেক কিছুই হতে পারে, সব মনে রাখতে নেই।

No comments

Powered by Blogger.