উপসাগরেই থাকবে মার্কিন রণতরী :ওয়াশিংটন

পারস্য উপসাগরে মার্কিন বিমানবাহী রণতরীর উপস্থিতি বজায় থাকবে_ যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণার পর গতকাল বুধবার ফের দেশটিকে হুশিয়ারি দিয়েছে ইরান। মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীকে পারস্য উপসাগর থেকে দূরে থাকতে ইরানের সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আতাউল্লাহর হুশিয়ারির প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার পেন্টাগন জানায়, ওই কৌশলগত নৌপথে তারা তাদের উপস্থিতি অব্যাহত রাখবে। এর পাল্টা জবাবে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ইরানের


হুশিয়ারিকে দুর্বল ভাবার কোনো সুযোগ নেই। খবর বিবিসি, এএফপি, রয়টার্সের। পেন্টাগনের মুখপাত্র জর্জ লিটল মঙ্গলবার বলেন, সমুদ্রবাণিজ্য নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ ও তা মেনে কৌশলগত ওই নৌপথে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ কাজ অব্যাহত রাখবে। অন্যদিকে হরমুজ প্রণালি বন্ধে ইরানের হুমকিটি নাকচ করে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। ইরানের এ হুমকি তাদের দুর্বলতা বলে উল্লেখ করে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কারনে বলেন, আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার কারণে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি চাপের মুখে পড়েছে। তাই তারা এ ধরনের হুমকি দিচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমাদ ভাহিদি দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আবার হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, হরমুজ প্রণালির নিরাপত্তা রক্ষায় সব কিছু করতে পারে ইরান।
হরমুজ প্রণালিতে ইরানের সামরিক মহড়ার কারণে মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ পারস্য উপসাগর থেকে ওমান সাগরে চলে যায়। ওই জাহাজ পারস্য উপসাগরে যেন আর ফিরে না আসে এ ব্যাপারে সতর্কতা উচ্চারণ করে ইরান।
গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে ইরানের নৌবাহিনীর সামরিক মহড়া শুরু হয়। ১০ দিনব্যাপী চলা ওই মহড়া গত সোমবার শেষ হয়। মহড়ার শেষ দুই দিন ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়। ওই প্রণালি বন্ধে নতুন কৌশলের অংশ হিসেবে এ মহড়া চালানো হয় বলে ইরান জানায়।
এদিকে ইরানের বিরুদ্ধে একতরফা মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় আপত্তি জানিয়েছে চীন। ১ জানুয়ারি ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বিলে স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হং লি গতকাল বুধবার জানান, একটি দেশের আইন আন্তর্জাতিক আইনের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি রয়েছে চীনের। তিনি বলেন, অবরোধ কোনো সমাধান বয়ে আনবে না। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার 'কামড়' বসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তাদের মুদ্রামান বাজারে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ডলারের বিপরীতে ইরানের মুদ্রা মান কমেছে দু'দিনে।

No comments

Powered by Blogger.