সাতক্ষীরায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের ধর্ষণের শিকার নৃত্যশিল্পী

ছাত্রলীগের ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নাজমূল হুদা পলাশের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন খুলনার এক নৃত্যুশিল্পী। ধর্ষণের শিকার ওই নৃত্যশিল্পী বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরা সদর থানায় ছাত্রলীগের ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
এর আগে ধর্ষণের শিকার ওই শিল্পীকে বুধবার রাত দেড়টার সময় নাজমূল হুদা পলাশের শহরের মধ্য কাটিয়ার বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, রাত ১২টার সময় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে ওই নৃত্যুশিল্পী ও সঙ্গে থাকা তার স্বামীকে শহরের আব্দুর রাজ্জাক পার্কের অনুষ্ঠান থেকে টাকা দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যান ওই ছাত্রলীগ নেতা।

পথে স্বামীর কাছ থেকে নৃত্যশিল্পীকে ছিনিয়ে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা পলাশ ও জুয়েল হাসান তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।

পুলিশ আরও জানায়, রাস্তায় টহল পুলিশ বিধ্বস্ত অবস্থায় ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে। তার বাসা খুলনা শহর এলাকায়।

ধর্ষিতার স্বামী বাংলানিউজকে জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনই নৃত্যশিল্পী। তারাসহ আরও তিন শিল্পী প্রত্যেকে তিন হাজার টাকা চুক্তিতে সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে স্থানীয় শিল্পী সোহাগ ও সন্তোষের মাধ্যমে বুধবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরায় যান। রাতে শিল্পকলা একাডেমিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তারা নৃত্য পরিবেশন করেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ শহরের কাটিয়া এলাকায় টহল দেওয়ার সময় খবর পেয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমূল হুদা পলাশের বাসা থেকে খুলনার ওই মেয়েকে উদ্ধার করে।

এসময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল হাসান পালিয়ে যায়।

রাত সাড়ে তিনটার সময় তাদের সদর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনার পর থেকে মেয়েটি অঝোরে কাঁদছেন।

ধর্ষিতা বাদী হয়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নাজমূল হুদাকে আসামিকে করে মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ওসি।

No comments

Powered by Blogger.