বিএনপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন আশরাফ

ওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) উত্তর-দক্ষিণ দুই অংশের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ৯০ দিনের মধ্যেই দুই মেয়র ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের নির্বাচন হবে। তিনি বিএনপির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ওই নির্বাচনেই প্রমাণ হবে ডিসিসিকে দুই ভাগে বিভক্ত করার সরকারি সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল


কি-না।তিনি একই সঙ্গে বিএনপিকে ডিসিসি নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনের মতো রাতের আঁধারে পালিয়ে যাবেন না। পরাজিত হলে ডিসিসি ভাগের বিরোধিতা করে দেওয়া আপনাদের সমালোচনা মেনে নেওয়া হবে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শুক্রবার
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সমাবেশে এ কথা বলেন। ডিসিসি ভাগ করার সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানিয়ে আয়োজিত এ সমাবেশে নগরীর বিভিন্ন থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও এলাকা থেকে দল এবং সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ যোগ দেন। এতে সমাবেশটি বিশাল জনসভায় পরিণত হয়।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, আমাদের জন্ম ঢাকায়। জন্মভূমিকে আমরা ভাগ করতে পারি না। ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তির ঢাকার প্রতি বেশি দরদ থাকবে, নাকি ভারতে জন্মগ্রহণকারী বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বেশি দরদ থাকবে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা ভাগ করেননি, প্রশাসনিকভাবে পুনর্বিন্যস্ত করে দুই সিটি করপোরেশন করেছেন মাত্র।
ডিসিসির বিভক্তিতে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাবে এলজিআরডি মন্ত্রী বিশ্বের বড় বড় শহরে একাধিক সিটি করপোরেশন থাকার কথা জানান। তিনি বলেন, কেবল ঢাকা নয়, নিজের জন্মভূমি ও পৃথিবী সম্পর্কে যাদের ধারণা নেই, সে 'জ্ঞানপাপীরাই' টিভির টক শোসহ বিভিন্ন স্থানে এ নিয়ে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, টিভিতে সরাসরি বিতর্কের আয়োজন করুন। আমরা এ মিথ্যাচারের উপযুক্ত জবাব দিয়ে দেব। এ প্রসঙ্গে ঢাকার ১৫টি আসনে জনসভা করে বিরোধী দলের অপপ্রচারের জবাব দিতে নগর আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেন, ডিসিসিকে আমরা চারভাগে ভাগ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দুই ভাগ করেছেন। এ জন্য তিনি দেশবাসীর অভিনন্দন পাবেন।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ রোডমার্চে বিরোধীদলীয় নেতার বক্তব্যের জবাবে বলেন, যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব দিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে, সেই দলের নেতাকর্মীরা কখনোই দেশ ছেড়ে পালাবে না। যার দুই ছেলে দুর্নীতির দায়ে বিদেশে পালিয়ে আছে, তার মুখে এমন কথা মানায় না।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এমপি, হাবিবুর রহমান সিরাজ, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুন্নেছা মোশাররফ এমপি, নগর নেতা ফয়েজউদ্দিন মিয়া, কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, আবদুল হক সবুজ, আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি, জাহানারা বেগম এমপি, আসলামুল হক আসলাম এমপি, ইলিয়াসউদ্দিন মোল্লা এমপি, শাহিদা তারেক দীপ্তি এমপি ও অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম এমপি।

No comments

Powered by Blogger.