'মার্কিন মুসলমানদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করছে এফবিআই'

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো এফবিআই (ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) স্থানীয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর পেছনে গোয়েন্দাগিরি করছে। সামাজিক যোগাযোগ কার্যক্রমের নামে এ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। মানবাধিকার সংগঠন আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) গত বৃহস্পতিবার এ অভিযোগ করেছে।এসিএলইউ এক প্রতিবেদনে অভিযোগ করে, আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি আছে_এমন লোকদের ব্যাপারে


এফবিআই নিজেদের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং তাদের বিশ্বাস ভঙ্গ করছে। তথ্য অধিকার আইনের আওতায় পাওয়া সরকারি দলিল থেকে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে এসিএলইউ। তারা অভিযোগ করে, 'সামাজিক যোগাযোগ কার্যক্রমের আড়ালে বেআইনিভাবে এফবিআই মুসলিম সম্প্রদায়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের খবর নিচ্ছে। গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে এ কাজ করছে তারা।'
২০০৭ ও ২০০৮ সালে সান ফ্রান্সিসকোর একটি মসজিদে আয়োজিত ইফতার পার্টিতে আসা লোকজনের ব্যাপারে এফবিআই গোপন তথ্য সংগ্রহ করে বলে জানায় এসিএলইউ। ২০০৯ সালে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান হোসে শহরে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা তিন সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য আয়োজিত 'ক্যারিয়ারস ডে'তে যোগ দেওয়া কয়েকজনের মতামত ও বিস্তারিত বিবরণ নেওয়া হয়। সান হোসের এক মসজিদে ২০০৭ সালে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া ২৭টি সংগঠনের প্রতিনিধিদেরও অতীত তথ্যাবলি লিপিবদ্ধ করে এফবিআই। এফবিআই মসজিদগুলোতে গোয়েন্দা নিযুক্ত করছে বলে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালতে মামলা করেছে এসিএলইউ। এসিএলইউতে কর্মরত সাবেক এফবিআই সদস্য মিশেল জার্মান বলেন, বেআইনিভাবে গুপ্তচরবৃত্তির চেষ্টা পুরোপুরিই উল্টো ফল এনেছে। 'সামাজিক যোগাযোগ কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্বাস তৈরির যে উদ্দেশ্য ছিল, এফবিআইয়ের তৎপরতার কারণে তা পুরোপুরিই বিফলে যায়। ধর্মীয় ও সামাজিক গোষ্ঠীগুলোর ব্যাপারে এফবিআইয়ের আরো সৎ হওয়া দরকার ছিল।'
তবে এফবিআই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। এফবিআইয়ের যোগাযোগ স্থাপনকারী সদস্যরা যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছে, তার সঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তির কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করে তারা। এক বিবৃতিতে এফবিআই জানায়, 'আমাদের বিদ্যমান নীতি অনুযায়ী যোগাযোগমূলক ও গুপ্তচরবৃত্তিমূলক তৎপরতায় স্পষ্ট ব্যবধান রাখতে হয়।' সূত্র : এএফপি, টেলিগ্রাফ।

No comments

Powered by Blogger.