রামপালের বিশ্বরেকর্ডেও হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

বিশাখাপত্তমে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রবি রামপাল। দশ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তিনি ৮৬ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন। ওয়ানডে ইতিহাসে যা বিশ্বরেকর্ড। এর আগে ২০০৯ সালে আবুধাবিতে দশ নম্বরে নেমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মোহাম্মদ আমের। গতকাল সে রেকর্ড ভেঙে ৬৬ বলে ৮৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন রামপাল। মূলত তার ব্যাটিং তাণ্ডবে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জেতার মতো ২৬৯ রানের স্কোর


দাঁড় করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাব দিতে নেমে বৃষ্টি বাগড়া দেওয়ার আগে ৮৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। এরপর বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মার অসাধারণ দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে জয় পায় ভারত। দু'জন মিলে গড়েন ১৭৩ রানের জুটি। ১৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে কোহলি ১২৩ বলে ১১৭ রান করে আউট হলেও ৯৮ বলে ৯০ রান করে অপরাজিত থাকেন রোহিত শর্মা। ক্যারিবীয়দের হয়ে রামপাল এবং রোচ দুটি করে উইকেট নেন। এ জয়ের ফলে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন কোহলি। বিশাখাপত্তমে রামপালের ইনিংসই আসলে দৃশ্যপট পাল্টে দেয়। কেমার রোচকে সঙ্গে নিয়ে তিনি দশম উইকেট জুটিতে ৯৯ রান তোলেন। রোচ অপরাজিত থাকেন ২৪ রানে। ছয়টি বাউন্ডারি এবং সমসংখ্যক ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৮৬ রানে অপরাজিত থাকে রামপাল। তিনি এই অনবদ্য ইনিংস না খেলতে পারলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০০ রানের গণ্ডি পার হতে পারত কি-না সন্দেহ! শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে তাদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২৬৯ রান।
গতকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টসে জিতে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান ভারতের অধিনায়ক বিরেন্দর শেবাগ। শুরুতেই উমেশ যাদব আর বিনয় কুমারের তাণ্ডবে ১৬ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫ উইকেটের পতন হয় মাত্র ৬৩ রানে। সফরকারীরা তখন দেড়শ' রান করতে পারবে কি-না সে সংশয়ে ভুগছিল। এরপর জাদেজা দুটি এবং অশ্বিন একটি উইকেট তুলে নিলে ১৪৯ রানে ৮ উইকেটের পতন হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এরপরই দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে দৃশ্যপটে আবির্ভাব রামপালের। বাকিটা তো বিশ্বরেকর্ডের ইতিহাস। ৬৬ বলে অপরাজিত ৮৬ রানের ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেঁৗছে যায় ২৬৯ রানে। প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিতে গিয়ে ১০২ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন সিমন্স। উমেশ যাদব তিনটি এবং বিনয় ও জাদেজা দুটি করে উইকেট নেন।

No comments

Powered by Blogger.