আরব বিশ্বে নির্বাচিত ইসলামপন্থীদের মেনে নেওয়া উচিত

কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন জসিম আল-থানি বলেছেন, আরব বিশ্বের ভবিষ্য ৎ রাজনীতি ধর্মভিত্তিক ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। পশ্চিমাদের উচিত, তাদের মেনে নেওয়া ও তাদের সঙ্গে একত্রে কাজ করা।
ফিনান্সিয়াল টাইমস-এর সঙ্গে এক সাক্ষা ৎ কারে কাতারের প্রধানমন্ত্রী থানি এসব কথা বলেন। পত্রিকাটি গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, মধ্যমপন্থী ইসলামি নেতারা কাতারের প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় কট্টরপন্থীদের মোকাবিলায় সাহায্য করতে পারেন।
থানি বলেন, ‘তাদের ভয় পাওয়া আমাদের উচিত হবে না। তাদের সঙ্গে আমাদের একত্রে কাজ করা উচিত।’
কাতারের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন মেনে যাঁরা কাজ করছেন, ক্ষমতা গ্রহণ করছেন এবং সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে চান, এমন কারও সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্বে জড়ানো উচিত নয়।’
মিসরে গত ছয় দশকের মধ্যে প্রথম অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে ইসলামপন্থী মুসলিম ব্রাদারহুড সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।
মিসরের সবচেয়ে পুরোনো ও সংগঠিত ইসলামি সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড আশা করছে, তাদের নতুন ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি পার্লামেন্টে একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করবে। তারা বলছে, জানুয়ারিতে নির্বাচন শেষে তারা একটি জোট সরকার গঠন করবে।
আরব জাগরণের প্রথম ধাক্কা আসে তিউনিশায়। চলতি বছরের গোড়ার দিকে এক গণ-অভ্যুত্থানে পতন ঘটে দেশটির সাবেক শাসকের। অভ্যুত্থানের পর অক্টোবরে দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে জোট সরকার গঠিত হয়। এই সরকারের নেতৃত্বে রয়েছে মধ্যমপন্থী ইসলামি দল এন্নাদা পার্টি।

No comments

Powered by Blogger.