'হাতি' পুষছে অস্ট্রেলিয়া!

পৃথিবীর সবচেয়ে হাসি-খুশি প্রাণী কোনটা? স্কুল শিক্ষকের এমন প্রশ্নের জবাবে দুষ্টু ছাত্রের জবাব, 'স্যার, হাতি সব সময় দাঁত দুটি বের করে রাখে!' সেই হাতির সঙ্গেই তুলনা হচ্ছে রিকি পন্টিংয়ের, তবে তাঁর মোটেই 'হাসি-খুশি' অবস্থা নয়! ডন ব্র্যাডম্যানের পর অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে সফল তিনি। অথচ সেই পন্টিংকেই এখন দলে রাখাটা 'হাতি পোষা' মনে হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ক্রিস কেয়ার্নসের। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের


ব্রিসবেন টেস্ট শুরুর আগে ফর্ম হারানো পন্টিংকে নিয়ে কেয়ার্নসের রসিকতা, 'একজন তিন নম্বর ব্যাটসম্যানের গত দুই বছরে ব্যাটিং গড় ২৭। আমার মনে হয় এখনই সময় পন্টিংয়ের অবসর নেওয়ার। একটা সময় মার্ক টেলর, ইয়ান হিলি, মার্ক ওয়াহদেরও সরে যেতে বলা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের ড্রেসিংরুমে এখন পন্টিং নামের একটা হাতি রয়েছে, যার দিকে তাকানোর কেউ নেই।'
১৫৭ টেস্টে পন্টিংয়ের রান ১২৬২৪। ৫২.৮২ গড়টাও শ্রদ্ধা করার মতো। কিন্তু অ্যাশেজের পর ১৩ ইনিংসে তিনি রান করেছেন মাত্র ১৪.১৫ গড়ে। সর্বশেষ টেস্ট সেঞ্চুরিটা এসেছে ২৮ ইনিংস আগে! তাই পন্টিংয়ের নিজে থেকে সরে যাওয়ার এখনই আদর্শ সময় বলে মনে করেন ৬২ টেস্টে ২১৮ উইকেট ও ৩৩২০ রানের মালিক কেয়ার্নস, 'আমাকে ভুল বুঝবেন না, রিকি পন্টিংকে শ্রদ্ধা করি আমি। সবাই অবসর নেওয়ার আগে শেষ ম্যাচটা খেলার সময় ও জায়গা নির্ধারণ করতে চায়। আমার মতে পন্টিংয়ের সরে যাওয়ার আদর্শ মঞ্চ হোবার্ট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এখানে সিরিজের শেষ টেস্টটা খেলে অবসর নেওয়া উচিত তার।'
অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচক, নতুন কোচ-অধিনায়ক ও সতীর্থরা অবশ্য পাশেই আছেন পন্টিংয়ের। সাবেক অনেক ক্রিকেটারও আরো কিছুদিন খেলার পরামর্শ দিয়েছেন পন্টিংকে, তাঁদের অন্যতম মার্ক ওয়াহ। তবে পাশে থাকলেও পরশু নিজের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসে ওয়াহ জানালেন, 'ওর অভিজ্ঞতাটা দলের বড় সম্পদ। কথাটা আমার মতো বলেছে নতুন অধিনায়ক ক্লার্কও। তবে দলে থাকতে অভিজ্ঞতা নয়, করতে হবে রান। পন্টিং ফর্মে নেই মোটেও। জোহানেসবার্গে অবশ্য রানে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল। আমার মতে, যদি কেউ রান করে তাহলে খেলতে পারে যত দিন খুশি। কিন্তু রান না করলে সরে যাওয়া উচিত যে কারো।'
কেয়ার্নসের খোঁচা আর মার্ক ওয়াহর রান করার তাগিদের পর অবশ্য চেনা ছন্দে দেখা গেছে পন্টিংকে। কাল ব্রিসবেনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে অনেকটা একাই লড়ছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান এ অধিনায়ক। দিন শেষে অপরাজিত ৬৭ রানে। জোহেনসবার্গের ৬২-এর পর ব্রিসবেনের ৬৭ আবার সেই ২০১০-এর অক্টোবরের পর পন্টিংয়ের প্রথম ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি। এএপি

No comments

Powered by Blogger.