আমাদের ক্লাসরুম-ইস্টার্নের আইন বিভাগ by পঙ্কজ ভট্টাচার্য

'আমাদের অনুষদে লেখাপড়ার মান বেশ ভালো। ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে সম্পর্কটাও আন্তরিক।' এভাবেই নিজেদের অনুষদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন মৌমিতা। ২০০৩ সালের ২৯ এপ্রিল ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে পূর্ণাঙ্গ আইন অনুষদ যাত্রা শুরু করে। অনুষদের প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টা ড. বোরহান উদ্দীন খান জানান, আইন অনুষদই দেশীয় আইন পদ্ধতির পড়াশোনায় তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক প্রয়োগ ঘটাচ্ছে। নিজস্ব কোর্ট রুম থাকায় ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহারিক


অভিজ্ঞতাও বেশি হচ্ছে। তারা হয়ে উঠছে আত্মবিশ্বাসী। এখানে স্নাতক শ্রেণীতে ভর্তি শুরু হয় ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষে, ৩৫ ছাত্রছাত্রী এবং চারজন শিক্ষক নিয়ে। এখন পড়ছে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে ৬৫০ জন। তাদের জন্য শিক্ষক রয়েছেন
৩০ জন।
'সমৃদ্ধ লাইব্রেরি ছাড়াও আমাদের রয়েছে লাইব্রেরি, উন্নতমানের সেমিনার এবং শ্রেণীকক্ষ। নিজেদের মধ্যে লেখাপড়ার বিষয়বস্তু আরো ভালোভাবে আলোচনার সুবিধার জন্য রয়েছে ডিসকাশন সেন্টার।' এভাবেই নিজেদের নানা সুবিধার কথা বললেন ভর্তি ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী কর্মকর্তা নাইম মুর্তজা। লেখাপড়ার মান ভালো হলেও এখানেও ছাত্রছাত্রীরা আছেন নানা অসুবিধায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নবম সেমিস্টারের এক ছাত্র অভিযোগ করলেন, ক্যান্টিনে বসার স্থান এবং খাবারের মান ভালো নয়। এসব সমস্যার মধ্যেও প্রতিবছরই অনুষদে আয়োজন করা হয় শিক্ষা সফর। এ ছাড়া জাতীয় দিবসগুলোতে বিভিন্ন আয়োজন থাকে বলে জানালেন নবম সেমিস্টারের আরাফাত ও তাশরীন। তাঁদের কাছ থেকে আরো জানা গেল, ব্যবহারিক ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত কোর্ট ও থানা পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের। ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানো হয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদে। এখানে পড়তে চাইলে স্নাতক পর্যায়ে চতুর্থ বিষয় বাদে এসএসসিতে ও এইচএসসিতে পেতে হবে জিপিএ ২ দশমিক ৫। কোনো একটিতে কম থাকলে দুটি মিলিয়ে জিপিএ থাকতে হবে ৬। স্নাতকোত্তর পর্বে ভর্তির আবেদনের জন্য সব পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণী অথবা জিপিএ থাকতে হবে ২ দশমিক ৫ করে।

No comments

Powered by Blogger.