চিঠিপত্র-ঢাবি চিকিৎসাকেন্দ্র আধুনিক হোক

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ দেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অপরিসীম। অথচ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্রটির আজ বেহাল দশা। প্রতিষ্ঠার এত বছর পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি চিকিৎসাকেন্দ্রটিতে আধুনিকায়নের ছোঁয়া লাগেনি। চিকিৎসাকেন্দ্রটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। অর্ধশতাধিক ছাত্র-শিক্ষকের সেবার কথা


বিবেচনা করে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বিপরীতে মাত্র ২০ শয্যাবিশিষ্ট চিকিৎসাকেন্দ্রটিতে ডাক্তার রয়েছেন ১৭ জন ও নার্স ৪ জন। ওষুধের অভাব, প্যাথলজি পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকা, অব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা ও জনবল সংকটসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত চিকিৎসাকেন্দ্রটি। এক রকম নোংরা পরিবেশেই পরিচালিত হয় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। রাত পোহালেই চিকিৎসাকেন্দ্রটিতে মশার উৎপাত। নেই কোনো চর্ম ও শল্যবিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এক্সরে রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হয় দিনের পর দিন। অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া গেলেও তার ড্রাইভার পাওয়া যায় না। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগীদের। শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশ এখানে চিকিৎসা নিতে আগ্রহবোধ করে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, এ চিকিৎসাকেন্দ্রটিকে পূর্ণাঙ্গ আধুনিক হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ জরুরি ভিত্তিতে গ্রহণ করা হোক।
মোঃ ওমর ফারুক
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কৃষি ব্যাংকের শাখা চাই
কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার একটি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দৌলখাড় বাজার। এ বাজারের আশপাশে রয়েছে প্রায় শতাধিক গ্রাম। এখানে প্রায় দুই লাখ লোকের বসবাস। তাদের প্রায় ৯৮%-এর জীবন-জীবিকা কৃষিনির্ভর। এ ছাড়া এখানে রয়েছে অনেক ডেইরি, পোলট্রি ও ফিশারি খামার। এ এলাকাটি ধান, গম, ভুট্টাসহ নানা ধরনের শাকসবজির জন্য বিখ্যাত। দৌলখাড় বাজারের আশপাশে রয়েছে আরও ছোট-বড় প্রায় ২০টি হাটবাজার। এগুলোর প্রায় প্রতিটিতেই রয়েছে বিপুল পরিমাণ কৃষিপণ্যের মোকাম। ফলে দৌলখাড়সহ এসব বাজারে বহু টাকা লেনদেন হয়। দুঃখের বিষয়, এলাকার ১শ' কিলোমিটারের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের কোনো শাখা নেই। কৃষি সমৃদ্ধ এমন একটি বিশেষ এলাকায় কৃষি ব্যাংকের শাখা না থাকা দুঃখজনক। অনেক কৃষক টাকার অভাবে চাষাবাদ করতে পারে না। তাদের ব্যাংক ঋণ নিতে যেতে হয় প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে জেলা শহরে। তাদের অনেকের পক্ষেই জেলা শহরে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, দৌলখাড় বাজারে একটি কৃষি ব্যাংকের শাখা স্থাপন। বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোঃ বেলায়েত হোসেন
কেকৈয়া, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা
পটুয়াখালী সিটি করপোরেশন
বর্তমান সরকার দেশের স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী পুরনো ১৯টি জেলা শহরকে সিটি করপোরেশনে রূপান্তরের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮তম জেলা পটুয়াখালী সিটি করপোরেশনে রূপান্তর করা হচ্ছে। উলেল্গখ্য, রংপুর পৌরসভাসহ রংপুর সদর থানার সব ইউনিয়ন অর্থাৎ ১০টি ইউনিয়ন এবং কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার একটি করে মোট ১২টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামগুলো নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়েছে আবার জয়দেবপুর (গাজীপুর) পৌরসভা ও টঙ্গী পৌরসভাসহ সদর উপজেলার সব ইউনিয়ন নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়েছে। তাই পটুয়াখালী সিটি করপোরেশন গঠনের ক্ষেত্রেও পটুয়াখালী পৌরসভাসহ সদর উপজেলার সব ইউনিয়ন নেওয়া সম্ভব না হলেও কমপক্ষে ৬-৭টি ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে পটুয়াখালী পৌরসভার সঙ্গে সীমানা আছে এমন ইউনিয়ন যেমন_ কালিকাপুর, জৈনকাঠি, ইটবাড়িয়া, মাদারবুনিয়া, লাউকাঠি, বদরপুর ও দুমকী উপজেলার নবগঠিত শ্রীরামপুর ইউনিয়নের দুমকী ও শ্রীরামপুর মৌজা, মুরাদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মুরাদিয়া মৌজার অংশবিশেষ, পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া মৌজার অংশবিশেষ নিয়ে পটুয়াখালী সিটি করপোরেশন গঠন করা প্রয়োজন।
রিপন কুমার দাস
পটুয়াখালী

No comments

Powered by Blogger.