কালের কণ্ঠের প্রতিবেদকের বাসায় দুঃসাহসিক চুরি, আটক ২

রাজধানীর আজিমপুরে কালের কণ্ঠের অপরাধ বিভাগের প্রধান প্রতিবেদক ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সভাপতি পারভেজ খানের বাসায় গতকাল মঙ্গলবার দুুপুরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। তাঁর বাসা থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালানোর সময় জনতা শাকিল (২২) ও মিরাজ (২৩) নামের দুই যুবককে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল দুপুর ১টার দিকে ২০৯/খ লালবাগ রোড, আজিমপুরের পাঁচ তলা ভবনের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে দু-তিনজন যুবক চুরির জন্য ঢোকে। চুরি করে পালানোর সময় গৃহকর্ত্রী ফরিদা খান চিৎকার করলে দুই যুবককে ধরে পিটুনি দেয় স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পেঁৗছালে এলাকাবাসী ওই দুই যুবককে পুলিশে সোপর্দ করে।
গৃহকর্ত্রী ফরিদা খান কালের কণ্ঠকে জানান, তাঁর ছোট মেয়ের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চলছিল। মেয়েকে আনতে তিনি স্কুলে যান। এ সময়ের মধ্যে ঘরে চোর ঢোকে। বাসায় ফিরে দেখেন দরজার তালা ভাঙা এবং ভেতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ। ঘটনাটি তিনি পাশের ফ্ল্যাটের লোকজনকে জানান। এর মধ্যে এক যুবক বের হয়ে দৌড় দেয়। পরে আরো এক যুবক একটি ব্যাগ হাতে বের হয়ে দৌড় দেওয়ার সময় তিনি বাধা দেন। ওই সময় তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ওই যুবক দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি 'চোর, চোর' বলে চিৎকার করলে রাস্তার লোকজন দ্রুত ওই দুই যুবককে ধরে ফেলে। তিনি আরো জানান, ঘরে ঢুকে তিনি দেখেন তাঁর আলমারি ও ড্রয়ার ভাঙা। সেখান থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার খোয়া গেছে।
গৃহকর্তা সাংবাদিক পারভেজ খান জানান, খবর পেয়ে তিনি বাসায় ছুটে যান। বাসার নিচে ধৃত দুই চোরকে গণধোলাই থেকে রক্ষা করে পুলিশে সোপর্দ করেন। ওই সময় ধৃত দুই চোরের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ও চুরি যাওয়া পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। খোয়া গেছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা মূল্যমানের জিনিসপত্র। এর মধ্যে নগদ প্রায় ৩৪ হাজার টাকা, সাত ভরি স্বর্ণালংকার, ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের দুটি মোবাইল ফোনসেট এবং আরো প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের অন্যান্য জিনিস। তিনি ধারণা করেন, সংঘবদ্ধ দলটিতে চার থেকে পাঁচজন সদস্য ছিল। তাদের মধ্যে দুজন ঘরে ঢোকে। বাকিরা বাসার সিঁড়িতে ও বাইরে পাহারা দিচ্ছিল বলে তাঁর ধারণা।
লালবাগ থানার ওসি আজিজুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, দুই চোরকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা মিরপুর গুদারাঘাট এলাকায় থাকে বলে জানা গেছে। তাদের দলনেতা জুম্মন বলে উল্লেখ করে তারা। তবে এ ঘটনায় এলাকার কোনো লোক জড়িত থাকতে পারে। তা না হলে ওই সময় বাসা খালি ছিল, তা দুই চোরের জানার কথা নয়। তিনি আরো জানান, চোরদের একজনের কাছ থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে। আরো কিছু খোয়া গেছে কি না এবং পুরো বিষয়টি তাঁরা তদন্ত করে দেখছেন। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

No comments

Powered by Blogger.