যুক্তরাজ্যের পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা

র্থনৈতিক স্থবিরতা এবং প্রবৃদ্ধি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কার মুখে নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাজ্য। চ্যান্সেলর জর্জ অসবর্ন আজ বুধবার যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ অর্থনৈতিক গতিচিত্র এবং নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন।
প্রায় খাদের কিনারে চলে যাওয়া অর্থনীতিকে টেনে তোলা এবং এ লক্ষ্যে আগামী বাজেট প্রণয়নে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা থাকবে পরিকল্পনায়। হাউস অব কমন্সের অধিবেশনে তিনি সরকারের নতুন এ পরিকল্পনা পেশ


করবেন। সাম্প্রতিককালের বিভিন্ন উৎস থেকে প্রবৃদ্ধি নিয়ে স্বাধীন মতামতের ভিত্তিতে সরকারের সর্বশেষ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। খবর বিবিসি অনলাইনের। ঋণ পরিস্থিতি বিবেচনায় পরিকল্পনা, যুব কর্মসংস্থান এবং অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ নিয়ে এরই মধ্যে পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী সরকারগুলোকে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা দানকারী গবেষণা সংস্থা অর্গানাইজেশন অব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) সতর্ক করে বলেছে, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি প্রায় মন্দায় ফিরে যাচ্ছিল। চলতি প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ হারে কমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ওইসিডি। পরবর্তী প্রান্তিকে এ হার শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ হারে কমে যেতে পারে বলে ধারণা দিয়েছে তারা।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর স্যার মারভেন বলেছেন, ইউরো অঞ্চলের ঋণ সংকট যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে বিঘি্নত করছে। এ কারণে অন্তত আগামী ছয় মাস প্রবৃদ্ধি বর্তমান সমান্তরাল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের কোনো সম্ভাবনা নেই। পাঁচ বছর ধরে বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনতে সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন আরও পিছিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৬ সালের আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কোনো সম্ভাবনা নেই।
অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতিতে ২০১১ ও ২০১২ সালের জন্য যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধি কমে যেতে পারে বলে ধারণা দিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা। সরকারের ঋণ গ্রহণ আগামী তিন বছরের মধ্যে দ্বিগুণ হবে বলে জানিয়েছে এসব স্বাধীন সংস্থা।

No comments

Powered by Blogger.