ইরানে ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলা ভাংচুর

তেহরানে ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে কয়েকশ' ইরানি। এ সময় তারা দূতাবাসের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। দূতাবাসের নথিপত্র জ্বালিয়ে দেয়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা খবর পেয়েছি ইরানের একদল উগ্র ছাত্র তেহরানে আমাদের দূতাবাসে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।


আন্তর্জাতিক আইন এবং ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী ইরান ব্রিটেনের দূতাবাসের নিরাপত্তা দিতে বাধ্য বলে সতর্ক করা হয়। খবর এএফপি, বিবিসি টেলিগ্রাফের।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসের জানালায় পাথর ছুড়ে ভাংচুর করছে। এ সময় এক বিক্ষোভকারী দূতাবাসের দেয়াল বেয়ে ওপরে উঠে যুক্তরাজ্যের পতাকা পুড়িয়ে ইরানের পতাকা লাগিয়ে দেয়। এক বিক্ষোভকারী দূতাবাস থেকে রানী এলিজাবেথের ছবি এনে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসের কম্পাউন্ডে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থলে ইরানি পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া দূতাবাসের বাইরে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী ব্রিটিশবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়। বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই মুসলিম ছাত্র এবং দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা খামেনির অনুসারী। এ ছাত্ররা 'ডেথ টু ব্রিটেন' বলে স্লোগান দেয়। এ ছাড়া তারা তেহরানে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের ইরান ত্যাগের দাবি জানায়। তেহরানের পার্লামেন্টে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বহিষ্কার এবং ব্রিটেনের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কছেদ সংক্রান্ত একটি বিল পাস হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটল। পরমাণু ইস্যুতে তেহরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বহিষ্কার এবং সম্পর্ক হ্রাসের উদ্যোগ নেয় ইরান।

No comments

Powered by Blogger.