বাক্সবন্দি স্ক্যানিং মেশিন-বিমানবন্দরের শাপমুক্তি ঘটুক

শাহজালাল বিমানবন্দর কার্গো ভিলেজের রফতানি শাখায় মালপত্র স্ক্যান করার জন্য কেনা তিনটি অতিপ্রয়োজনীয় স্ক্যানিং মেশিন জনবলের অভাবে বাক্সবন্দি অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মঙ্গলবার সমকালের রাজধানী পাতায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ খবর রয়েছে। প্রশ্ন হলো, স্ক্যানিং মেশিন চালাতে যে ৬০ থেকে ৭০ জন কর্মী দরকার, তা কি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানত না? অবশ্যই তারা জানতেন।


তারপরও ঘোড়ার আগে গাড়ি জোড়ার মতো এসব মেশিন তড়িঘড়ি করে কেনা হয় সম্ভবত কমিশন বাণিজ্যের ধান্দায়। কর্মকর্তারা মেশিন তিনটি ৩৫ কোটি টাকায় কেনার পরও জনবল ঘাটতি সমস্যার সমাধান করতে পারতেন। কিন্তু গত দুই মাসেও তা না করা দুর্ভাগ্যজনক। এ কারণে সরকার অর্থ ব্যয়ের পরও বিমানবন্দর রফতানি শাখা অবৈধ কারবার যেমন ঠেকাতে পারছে না, তেমনি আয়ও বাড়াতে ব্যর্থ হচ্ছে। আসলে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে কাজের সমন্বয়হীনতা ও প্রশাসনিক দক্ষতার অভাবেও অনেক ক্ষেত্রে গৃহীত উপকারী সিদ্ধান্তও বাস্তবায়িত হয় না অথবা দায়সারা গোছের বাস্তবায়ন হয়। তার ওপর আছে দুর্নীতির কশাঘাত। শাহজালাল বিমানবন্দর কার্গো ভিলেজের রফতানি শাখার জন্য কেনা স্ক্যানিং মেশিনগুলো সচল না হওয়ার পেছনে সম্ভবত উলি্লখিত সবক'টি কারণই ক্রিয়াশীল ছিল। ঊর্ধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের উচিত স্ক্যানিং মেশিনগুলো পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল সমস্যার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুরাহা করা। আমলাতান্ত্রিক লাল ফিতার গেরোতে যেন এটি কোনোভাবেই আটকে না যায়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে অবশ্যই সক্রিয় হতে হবে। কার্গো রফতানি শাখা দিয়ে যাতে এখনকার মতো সরকারকে প্রয়োজনীয় রাজস্ব না দিয়ে অথবা অবৈধভাবে মালপত্র নিয়ে যেতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্যই মেশিনগুলো কেনা হয়েছিল। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আশা করি এ ব্যাপারে ত্বরিত ব্যবস্থা নেবে।

No comments

Powered by Blogger.