রোডম্যাপ ঘোষণাই যথেষ্ট নয়

গত ১৬ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করলেন। দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি পূর্বে ভেঙে না দিলে ওই বৈঠকের তারিখ থেকে পাঁচ বছর অতিবাহিত হলে সংসদ ভেঙে যাবে। সংবিধান অনুযায়ী মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে হিসাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সর্বশেষ তারিখের ছয় মাস আগেই ঘোষিত হল রোডম্যাপ। রোডম্যাপে সাতটি করণীয় বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হল- আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কার, নির্বাচন প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও যুগোপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট সবার পরামর্শ গ্রহণ, সংসদীয় এলাকা পুনঃনির্ধারণ,
নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সরবরাহ, বিধিবিধান অনুসরণপূর্বক ভোট কেন্দ্র স্থাপন, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষা এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সবার সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ। একাদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকছে বলে ইতিপূর্বে পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছিল, ১৬ জুলাই ঘোষিত রোডম্যাপের বিষয়বস্তুর সঙ্গে সেগুলোর বড় ধরনের কোনো পার্থক্য নেই। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি। রোডম্যাপ অনুযায়ী সুশীল সমাজের সঙ্গে ৩১ জুলাই, গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে আগস্টে, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষক, নারীনেত্রী ও নির্বাচন পরিচালনাকারী বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে অক্টোবর মাসে পৃথক দিনে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। রোডম্যাপ নিয়ে পরস্পরবিরোধী প্রতিক্রিয়া এসেছে। রোডম্যাপকে স্বাগত জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটসঙ্গীরা এবং সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, সরকার কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা করবে এবং নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে না। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বর্তমান কমিশন এখন পর্যন্ত ভালো ভূমিকা রেখেছে। তাদের অধীনে স্থানীয় সরকারের কয়েকটি নির্বাচনও ভালো হয়েছে। তাদের সন্দেহ করার মতো অবস্থা হয়নি। এটাও প্রমাণিত হয়নি যে, তারা সরকারের পক্ষে কাজ করছেন। এখন দেখতে হবে শেষ পর্যন্ত কী হয়। অন্যদিকে সংসদের বাইরে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি রোডম্যাপ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো আলোচনা ছাড়া ঘোষিত রোডম্যাপে একাদশ সংসদ নির্বাচনের উদ্যোগ চলমান সংকটের সমাধান দেবে না।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, এ রোডম্যাপ একটি ফাঁকা বুলি। এখানে সব দলের অংশগ্রহণ কীভাবে নিশ্চিত করা হবে- তা বলা হয়নি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কীভাবে নিশ্চিত করা হবে সে সম্পর্কেও কোনো কথা বলেনি কমিশন। দেশের সুশীল সমাজ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ রোডম্যাপ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মর্মে মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। তারা বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপে সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কমিশনের ভূমিকা কী হবে- এ নিয়েও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন, শক্তিশালী, কার্যকর এবং অর্থবহ করার যে দাবি বিভিন্ন মহল থেকে করা হচ্ছে, তা কার্যকরের বিষয়েও কোনো বক্তব্য নেই কমিশনের। কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের বিষয়ে রোডম্যাপে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর ভূমিকা কী হবে- তা নিয়েও নেই তেমন বক্তব্য। তবে সিইসির বক্তব্যে এসব প্রশ্নে কিছুটা দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়। তিনি বলেছেন, এ কর্মপরিকল্পনা নির্বাচনের পক্ষে কাজ শুরু করার একটি সূচনা দলিল। এ কর্মপরিকল্পনাই সব নয়। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে এটি আরও বাস্তবায়নযোগ্য করে তোলা হবে। তিনি আরও বলেছেন, আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে এ মুহূর্তে সম্ভব না হলেও তফসিল ঘোষণার পর সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও ভোটারদের নিরাপত্তাসহ সব বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও এর বিকাশে অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই- সে নির্বাচন জাতীয় বা স্থানীয় যে পর্যায়েই অনুষ্ঠিত হোক। সাধারণ নির্বাচন যদি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়, তাহলে জনগণ ভয়ভীতি ছাড়া এবং প্রভাবমুক্ত থেকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। এর ফলে গঠিত সংসদে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে। তা না হলে যে সংসদ গঠিত হয় তাতে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে না। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বিগত চার দশকের বেশি সময়কালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনগুলোর মধ্যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত কয়েকটি নির্বাচন ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি। দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত কোনো সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের পরাজিত হওয়ার কোনো নজির নেই। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে অনেকটা ওই দলের একক অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই বর্তমান কমিশনকে একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুর্বল গণতন্ত্রকে সবল করে তোলার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। সেদিক থেকে কমিশনের নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরির উদ্যোগকে একটি শুভ সূচনা বলা যেতে পারে। নির্বাচন কমিশনের কাজ হল একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কমিশনের জন্য সে কাজটি কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, যখন ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় দলীয় সরকারের শাসনামলে। কেননা, আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের সাধারণ নির্বাচনের ইতিহাসে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার নজির নেই। তাই কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এমন নজির সৃষ্টি করা যে, দলীয় সরকারের অধীনেও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। সিইসি অবশ্য আশা প্রকাশ করেছেন, কমিশন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে। তবে শুধু আশা করলেই চলবে না, আশা যেন বাস্তবায়িত হয় সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
দুই. কমিশনের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হল মাঠে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আনার জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা। এজন্য কমিশনের কাজ হবে সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। যদিও সিইসি বলেছেন, এ মুহূর্তে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত নয় এবং তফসিল ঘোষণার পরই তারা সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিসহ সব বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ নেবেন, তবুও দেশের সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তফসিল ঘোষণার আগেও কমিশনকে বিষয়টি নজরে রাখতে হবে। কমিশনের পক্ষে সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ এ কারণে যে, তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোট এবং জোটের বাইরে ৯টি সমমনা দল দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করলে অনেকটা একদলীয় নির্বাচনে স্বল্পসংখ্যক কয়েকটি আসন বাদে বাকি সব আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর কারণে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় জাতীয় সংসদের কম-বেশি ৯০ ভাগ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা (তাদের অনেকে মন্ত্রী হয়েছেন) ক্ষমতায় থাকবেন। তাছাড়া কাজী রকিবউদ্দীন কমিশন নিরপেক্ষভাবে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ায় সরকারি দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত/মনোনীত প্রার্থীরা এসব নির্বাচনে নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করেন। তারা দলীয় নীতিনির্ধারকদের ইঙ্গিতে একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে যে পিছপা হবেন না, তা অনেকটা জোর দিয়েই বলা যায়। এসব বাধা-বিপত্তি ডিঙ্গিয়ে কমিশনকে সব দলের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির এজেন্ডায় জয়ী হতে হবে। তাহলেই বিএনপিসহ সব নিবন্ধিত দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।
তিন. একাদশ সংসদ নির্বাচনে কমিশনের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে বাস্তবে নির্বাচন পরিচালনাকারী মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, নব্বইয়ের দশকের প্রথম ভাগে প্রশাসনে যে দলীয়করণ শুরু হয়েছে, তা বর্তমানে উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানেন, যে সরকার ক্ষমতায় আসবে সে সরকারই তাদের রক্ষা করাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারবে। তাই নির্বাচন কমিশন কোনো শাস্তি দিলেও শেষমেশ তা কার্যকর করতে পারবে না। সঙ্গত কারণে প্রশাসনের যারা বেনিফিশিয়ারি তারা নিজেদের স্বার্থেই সরকারের পরিবর্তন চাইবেন না। তাই কমিশনের কাজ হবে মাঠ প্রশাসনকে দলনিরপেক্ষ থাকতে উদ্বুদ্ধ করা। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করে মাঠ প্রশাসন যে সুনাম অর্জন করেছিল তা তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। তাদের সে হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারে অনুপ্রেরণা দিতে হবে। এটা করতে পারলে কমিশনের পক্ষে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পথে কোনো দলবাজ কর্মকর্তা বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার যে প্রতিশ্রুতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার দিয়েছেন, তার পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। সবশেষে যা বলতে চাই তা হল, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, নারীনেত্রী ও নির্বাচন পরিচালনাকারী বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে কমিশন তাদের গঠনমূলক পরামর্শগুলো গ্রহণ করে নিরপেক্ষভাবে তাদের রোডম্যাপ বাস্তবায়নে এগিয়ে গেলে সফলতা না আসার কোনো কারণ নেই। এজন্য ক্ষমতাসীন দল, বিরোধী দল ও প্রশাসনের, বিশেষ করে মাঠ প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতা কমিশনের দরকার। সবচেয়ে বড় কথা, রোডম্যাপ ঘোষণাই যথেষ্ট নয়, অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক সচিব, কলাম লেখক
latifm43@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.