সম্পদে এগিয়ে মনিরুল, মামলাও আছে দুটি

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে সম্পদে এগিয়ে আছেন বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা। মনিরুল হক ছাড়া অন্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। মনিরুলের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অন্য তিন প্রার্থী হলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি-রব) শিরিন আক্তার, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) সোয়েবুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মামুনুর রশীদ। গত বৃহস্পতিবার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডলের কাছে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা ঘেঁটে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মনিরুল হকের সম্পদ সবচেয়ে বেশি। তাঁর স্ত্রীর সম্পদ তাঁর চেয়েও বেশি। বাড়িভাড়া থেকে পান ৭২ হাজার টাকা, ব্যাংক সুদ ২ লাখ ১২ হাজার টাকা ও সম্মানী ভাতা ১১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নগদ রয়েছে ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
তাঁর স্ত্রীর নামে নগদ আছে ৫৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ও ব্যাংকে জমা ৮৭ হাজার টাকা। সঞ্চয়পত্র বাবদ মনিরুলের রয়েছে ২ লাখ টাকা। তাঁর স্ত্রীর এ খাতে আছে ২৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। তাঁর গাড়ি আছে দুটি। দুজনের স্বর্ণ আছে ১০ তোলা করে। তাঁর স্ত্রী ব্যবসায় পুঁজি খাটিয়েছেন ২ কোটি ১২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে মনিরুলের অকৃষি জমি আছে দশমিক ০৯২৩ একর। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রীর রয়েছে দশমিক ০৫ একর জমি। তাঁর স্ত্রীর আবাসিক ও বাণিজ্যিক সম্পদের মধ্যে কুমিল্লা নগরের রেসকোর্স এলাকায় সেল নিশা টাওয়ারে রয়েছে তিনটি বাণিজ্যিক দোকান, দ্বিতীয় তলায় ১২টি দোকান, তৃতীয় ও চতুর্থ তলার ৭ হাজার ২৫৬ বর্গফুটের দুটি স্পেস, ফাতেমা জাহানারা টাওয়ারে ষষ্ঠ ও সপ্তম তলায় দুটি ফ্ল্যাট এবং ৩ হাজার ২২৯ বর্গফুটের স্পেস। মনিরুল হকের বিরুদ্ধে বর্তমানে ঢাকার রমনা থানায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে একটি এবং আয়কর অধ্যাদেশ আইনে কুমিল্লায় একটি মামলা রয়েছে। আঞ্জুম সুলতানার বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে আয় ৫৪ হাজার টাকা। তিনি শিক্ষকতা পেশা থেকে আয় করেন আড়াই লাখ টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ৪৬ লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্র বাবদ ২০ লাখ টাকা ও স্বর্ণ ৩০ তোলা। এ ছাড়া তাঁর স্বামী নিসার উদ্দিন আহমেদের রয়েছে ৩০ তোলা সোনা। আঞ্জুম সুলতানার স্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে অকৃষি জমি ১০ শতক ও টিনশেড দালান।
তাঁর স্বামীর অকৃষি জমি আছে ২০ শতক, ২ হাজার বর্গফুটের দ্বিতলবিশিষ্ট আবাসিক দালান ও ১ হাজার ২০০ বর্গফুট তিনতলা আবাসিক দালান। জেএসডির শিরিন আক্তারের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ রয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, স্বর্ণ ৩০ ভরি ও ঋণপত্র ৫০ হাজার টাকা। আর তাঁর স্থাবর সম্পদ আছে ১৪ শতক জমি। পিডিপি প্রার্থী সোয়েবুর রহমানের পেশা থেকে আয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তাঁর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে নগদ ১ লাখ টাকা ও ব্যাংকে জমা ২ লাখ টাকা। স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুনুর রশীদের বাড়ি ভাড়া থেকে আয় ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রীর শিক্ষকতা পেশা থেকে আয় ৬০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে দেড় লাখ টাকা। মামুনুর রশীদের অস্থাবর সম্পদ রয়েছে নগদ ১ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ২ লাখ টাকা ও স্ত্রীর স্বর্ণ ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার। আর স্থাবর সম্পদের মধ্যে কৃষিজমি ১১ শতক, অকৃষি জমি ৬০ শতক ও স্ত্রীর একটি বাড়ি। প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পেশা: আঞ্জুম সুলতানার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ ও বিএড। পেশা শিক্ষকতা। মনিরুল এসএসসি পাস ও পেশায় ব্যবসায়ী। শিরিন আক্তার এসএসসি পাস ও পেশায় মৌসুমি ব্যবসায়ী। সোয়েবুর রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা এলএলবি। তিনি পেশায় আইনজীবী। মামুনুর রশীদ এমবিএ পাস। তাঁর পেশা ওষুধের ব্যবসা।

No comments

Powered by Blogger.