ভারত থেকে পানি না পাওয়ায় গড়াইয়ে পানি কমেছে

পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে নির্ধারিত পানি পাওয়া যাচ্ছে না বলেই গড়াই নদে পানির প্রবাহ আগের তুলনায় কমে গেছে। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সুলতানপুর এলাকায় গতকাল শুক্রবার দুপুরে শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ী রক্ষা প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। পানির প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণ জানাতে গিয়ে পানিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ভারতের অংশে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের আগে পানি আসত ৫২ থেকে ৫৪ হাজার কিউসেক। এখন সেটা নেমে গেছে ২০ থেকে ২৫ হাজার কিউসেকে। এ ছাড়া প্রতিবছর গড়াইয়ের উৎসমুখ বালুতে ভরে যায়। এটি দূর করতে গঙ্গা ব্যারাজ করা হচ্ছে। এরও (গঙ্গা ব্যারাজ) ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক আছে। সে ব্যাপারে সমীক্ষা করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোতে ‘কোটি কোটি টাকা খননেও পানির প্রবাহ নেই’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গড়াই নদে পানির প্রবাহ অব্যাহত রাখার জন্য ২০০৯-১০ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত আট বছরে সরকারি প্রকল্পে খরচ হয়েছে ৬৫৪ কোটি টাকা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নিজেও দেখেছি পানি দৃশ্যত দেখা যায় না, এটা সত্য। পরিমাপ করে দেখা গেছে, খুলনা অঞ্চলে পানির লবণাক্ততা অনেকটা কমেছে।’ নদ খনন হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডে এ ধরনের কাজে দুর্নীতি করা অসম্ভব। সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে সফলতাও পাওয়া গেছে। শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ী রক্ষায় ২০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কুমারখালী উপজেলার সুলতানপুর এলাকা থেকে শিলাইদহ ঘাট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকারি অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম, ঢাকার সাবেক সাংসদ এইচ বি এম ইকবাল, কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সাংসদ আবদুর রউফ, পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম, কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.