নীতিশ কুমারকেই ফারাক্কা বাঁধ ভাঙতে হবে : জাফরুল্লাহ চৌধুরী

ভারতের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার গঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত বিতর্কিত ফারাক্কা বাঁধ পুরোপুরি সরিয়ে ফেলা সংক্রান্ত বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত দিয়েছে দিল্লী। এই বাঁধ তো বিহারেই। ফারাক্কা বাঁধ সরাতে হলে বা ভাঙতে হলে তাকেই (নীতিশ কুমার) করতে হবে। নীতিশ কুমার সজ্জন ব্যক্তি হলে কেন্দ্রের দিকে তো তাকিয়ে থাকার দরকার নেই, নিজেরাই এটা সরিয়ে ফেলতে পারেন। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ কথা বলেন। সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন।
বৈঠকের আগে সংবাদমাধ্যমকে নীতিশ কুমার বলেন, ফারাক্কা বাঁধের কারণে গঙ্গায় বিপুল পরিমাণ পলি জমছে। আর এ কারণে প্রতিবছর বিহারে বন্যা হচ্ছে। এর একটা স্থায়ী সমাধান হলো ফারাক্কা বাঁধটাই তুলে দেওয়া। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরো বলেন, পানি, বাতাস, নদী-প্রকৃতিকে যারা বাধাগ্রস্ত করে তারাও মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে। পানি-বাতাস বাধাগ্রস্ত করে লাখ লাখ লোকের জীবনহানি করাও মানবতাবিরোধী কাজ। তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি পরিহার, প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে জোট নিরপেক্ষ নীতির বরখেলাপ ও বাংলাদেশকে ভারতের অস্ত্রের ডাম্পিং সেন্টার বানানোর চক্রান্ত বন্ধ, বাণিজ্য ঘাটতি দূর, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, বাংলাদেশি পণ্যের অশুল্ক বাধা দূর করাসহ ভারতের সাথে অমীমাংসিত সকল সমস্যা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা, না হলে আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপনের মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণের দাবিতে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন বজলুর রশিদ ফিরোজ, রাজেকুজ্জামান রকন প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.