আ'লীগ-বিএনপির মর্যাদার লড়াই

মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাইকমান্ড। তারা মনে করছেন, এটি জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের অন্যতম একটি মাপকাঠি। এ কারণে দুই দলের কেন্দ্রীয় নেতারা কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রচার চালিয়েছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এটিকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখছেন তারা। আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লড়াইয়ে রেফারির ভূমিকায় থাকা নির্বাচন কমিশনও এটিকে গ্রহণযোগ্যতার পরীক্ষা হিসেবে দেখছে। নির্বাচন কমিশন মনে করছে, নতুন কমিশনের দায়িত্ব নেয়ার পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অংশগ্রহণে এটিই সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন। এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ওপর জন-আস্থার বিষয়টি নির্ভর করছে। এ কারণেই সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্টরা। সরেজমিন দেখা গেছে, বুধবার ভোর থেকে নগরীতে বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবের টিম টহল দিচ্ছে। নগরীর প্রবেশপথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। প্রাইভেট কার ও অন্য ছোট যানবাহন প্রবেশে তল্লাশি করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে মোটরসাইকেল চলাচল। প্রচারে দেখা যায়নি প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের। নির্বাচনী এলাকায় যানবাহনের ওপর বিধিনিষেধ এবং বহিরাগতদের অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেকটা ফাঁকা ছিল কুমিল্লা শহর। তবে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পোস্টার টানাতে দেখা গেছে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের। ভোট কেন্দ্রগুলোর আশপাশ এলাকা পোস্টারে ছেয়ে গেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারির পর আবার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে যাচ্ছেন তারা। নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে উৎসব কাজ করছে। তবে দক্ষিণ থানা এলাকার নয়টি ওয়ার্ডে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন কিনা- তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, এ নির্বাচনে জয়কে গুরুত্ব সহকারে দেখছে দলটি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তুলনায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ কারণেই নির্বাচনী প্রচারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মী কুমিল্লায় অবস্থান করেছেন। তারা নিজেরা প্রচার চালিয়েছেন এবং নির্বাচনী কার্যক্রমে সমন্বয় করেছেন। তারা জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, সরকারি দলের প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়ন হবে। এছাড়া প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি করে কেন্দ্র কমিটি করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেও আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে এবং স্থানীয়ভাবে সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ নির্বাচনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান জানতে চাওয়া হলে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। দলীয় প্রতীকে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী ও নৌকা প্রতীকের জনপ্রিয়তা রয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা তা প্রমাণের চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষের তুলনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা বেশি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে স্থানীয় নেতাকর্মীরা নির্বাচনে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন। আওয়ামী লীগ ও নৌকার জনপ্রিয়তার কারণে আমাদের প্রার্থীর জয় হবে বলে আশা করছি। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রতন বলেন, ভোটের জন্য আমরা প্রস্তুত। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যেতে পারেন সেজন্য ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের সহযোগিতা করবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ভেদাভেদ নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনুকূল আবহাওয়া থাকলে নির্বাচনে ৬৫-৭০ শতাংশ ভোট পড়বে। অপরদিকে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এ নির্বাচনে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে দলটি। এখন চ্যালেঞ্জ ভোটারকে কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া। দলটি মনে করছে, ভোটার উপস্থিতি বেশি হলে দলটির প্রার্থী জয়ী হবে। তারা বলেন, বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন। এর আগে তিনি পৌরসভারও মেয়র ছিলেন। মেয়র হিসেবে তার জনপ্রিয়তাও রয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ দুই মেয়াদে সরকারে থাকায় তার নেতিবাচক প্রভাব সরকারি দলের প্রার্থীর ওপর পড়ছে। এর সুবিধা বিএনপি প্রার্থী পাবে বলে মনে করছে দলটি। নির্বাচনী প্রচারে এসব বিষয় তুলে ধরেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। ভোটের ফলাফলে এটি প্রতিফলিত হবে বলে মনে করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেলা বিএনপির সভাপতি বেগম রাবেয়া চৌধুরী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কোন দলের কত জনপ্রিয়তা তা প্রমাণিত হবে এ নির্বাচনে। আমরা মনে করি, সারা দেশে বিএনপির জনপ্রিয়তা রয়েছে। ওই জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সরকারি এ নির্বাচনে কারচুপির চেষ্টা করতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিএনপির প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান যুগান্তরকে বলেন, আমাদের প্রার্থী (সাক্কু) অভিজ্ঞ ও গ্রহণযোগ্য। নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক থাকলে ও ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হলে বিএনপি প্রার্থী জয়ী হবে। বিএনপির জনপ্রিয়তার প্রমাণ হবে। তবে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ হবে কিনা তা সংশয় রয়েছে। বুধবার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এক কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ হয়রানি করছে। তিনি বলেন, সদর দক্ষিণ মডেল থানার ৯টি ওয়ার্ডের কেন্দ্র দখল করতে বহিরাগতদের জড়ো করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে চাই। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে কমিশন শতভাগ আন্তরিক। নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও ভোটারদের সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী। আতংকে বিএনপির পোলিং এজেন্টরা : স্থানীয় বিএনপির নেতারা জানান, বিএনপির পোলিং এজেন্টরা গ্রেফতার আতংকে রয়েছেন। বিভিন্ন কেন্দ্রের এজেন্টদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। এদিকে বিএনপির এজেন্টদের একটি লিখিত নির্দেশনা দিয়েছে দলটি। এতে কোন পরিস্থিতিতে পোলিং এজেন্টরা কী করবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসেও একটি মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে। নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। ব্যালটে অবৈধ হাত দিলে প্রতিরোধ- রিটার্নিং কর্মকর্তা : কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে হুশিয়ার করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল। বুধবার কুমিল্লা পুলিশ লাইনসে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ব্যালটে অবৈধ হাত দিলে সেটা প্রতিহত করা হবে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। কোনো অনিয়ম হবে না। কেউ অনিয়ম করতে চাইলে সাবধান হয়ে যান। আমাদের হাত অনেক শক্ত। যে কোনো বিশৃংখলা ঠেকাতে যে হাতিয়ার প্রয়োজন সেটা ব্যবহার করব। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। কোনো অনিয়ম হবে না। কারও অনিয়ম করার ইচ্ছা থাকলে সাবধান হয়ে যান। তিনি বলেন, পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সমন্বয়ে ‘সুন্দর নির্বাচন’ করতে চায় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু অনেক সময় চাইলেও সেটা পারা যায় না। অনিয়মের কারণে কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখতে হয়। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, এবারের নির্বাচনে কোনো কারচুপি হবে না। ?সুন্দর নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, পোলিং এজেন্ট, রাজনৈতিক দল ও সর্বোপরি ভোটার- সবার সমর্থন চাই। নির্বাচনে যার যা দায়িত্ব তা সুন্দরভাবে পালনের আহ্বান জানান এই রিটার্নিং কর্মকর্তা। ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি দেখানো হবে- পুলিশ সুপার : কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন বলেন, যে কোনো ধরনের অনিয়ম, সহিংসতা ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি দেখানো হবে। কেউ কেন্দ্রে বিশৃংখলা করতে এলে আমরা সেখান থেকে তাকে স্বাভাবিকভাবে যেতে দেব না। বিশৃংখলা করলে কেউ অক্ষত অবস্থায় পুলিশের সামনে থেকে যেতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের ‘যে কোনো বৈধ আদেশ’ পুলিশ সদস্যরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করবে বলেও মন্তব্য করেন পুলিশ সুপার। সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ভোট গ্রহণ শুরুর আগে ম্যাজিস্ট্রেট, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পুলিশের ঊর্ধ্বতনদেও মোবাইল নম্বর পুলিশ সদস্যদের সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দেন তিনি। এবার প্রতিটি কেন্দ্রের ইনচার্জের হাতে আমরা একটি করে ওয়াকিটকি দিয়ে দেব, যাতে যোগাযোগ সহজভাবে করা যায়। নিরাপত্তায় চার হাজারের বেশি সদস্য : কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রায় পাঁচ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ ২ হাজার ৪৫৬ জন, বিজিবি ২৬ প্লাটুন, আনসার ১ হাজার ৯৭২ জন। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ২৪ জন আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া নির্বাচনে প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা রয়েছেন ১ হাজার ৯৮৭ জন। একনজরে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন : কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে ওয়ার্ড রয়েছে ২৭টি। মোট ভোটার ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৭। মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫ হাজার ১১৯ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১০৩। ভোট কক্ষ ৬২৮। মোট ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ১৯৮৭ জন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী মালামাল : প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কাছে বুধবার সকালে নির্বাচনী মালামাল তুলে দিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা। বুধবার বিকালের মধ্যে এসব মালামাল নিরাপদে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। বাসায় ব্যস্ত ছিলেন দুই মেয়র প্রার্থী : কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের আগের দিন নিজ নিজ বাসায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা ও বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। বুধবার  সারাদিন তারা নিজ নিজ বাসায় বসে নেতাকর্মীদের সঙ্গে আজকের দিনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। যাদের পোলিং এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেন। কোথাও কোনো দুর্বলতা আছে কিনা- তা চিহ্নিত করে শেষবারের মতো সমাধানের চেষ্টা করেন। জানা গেছে, আঞ্জুম সুলতানা সীমা আজ সকাল সাড়ে নয়টায়  ৮নং ওয়ার্ডের তার নিজ নির্বাচনী কেন্দ্র মডার্ন স্কুলে ভোট প্রয়োগ করবেন। এরপর ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে বের হবেন তিনি। সীমার বাবা অধ্যক্ষ আফজল খানও একই কেন্দ্রে ভোট দেবেন। অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু সকাল নয়টায় ১২নং ওয়ার্ডের নবাব হোচ্চাম হায়দার উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দিতে যাবেন। ভোট অবাধ ও নিরপেক্ষ হচ্ছে কিনা তা সরেজমিন দেখতে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে বের হবেন তিনি। একই কেন্দ্রে ভোট দেবেন কুমিল্লা সদর আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাজী আকম বাহাউদ্দিন বাহার। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশিদ ইয়াছিন ভিক্টোরিয়া কলেজ কেন্দ্রে ভোট প্রয়োগ করবেন। সীমা নির্বাচনের আগের দিন ঠাকুরপাড়ার তার বাসায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বাসায় আসা মুরব্বি ছাড়াও টেলিফোনে সিনিয়র নেতা এবং নিকটজনের সঙ্গে কথা বলে দোয়া চান তিনি। বিএনপির প্রার্থী সাক্কু সারাদিনেই নানুুয়া দীঘির পাড়ের নিজ বাসায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। নির্বাচনের দিন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

No comments

Powered by Blogger.