শীতবস্ত্র আনতে যাওয়ার পথেই কনকনে শীতে দু’জনের মৃত্যু- মালয়েশিয়ায় চাকরির জন্য গমনেচ্ছু কর্মীদের রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কিত জরুরী বিজ্ঞপ্তি পৃষ্ঠা-১৬ by তাহমিন হক ববি

ডিমলার তিস্তাপারের টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তেলিবাজার গ্রামের মৃত ছাল্লি মাহমুদের পুত্র দিনমজুর ইসমাইল উদ্দিন (৬৫) ও ডোমার উপজেলার গোমনাতী ইউনিয়নের উত্তরগোমনাতী গ্রামের মৃত ছকি মাহমুদের পুত্র ভিক্ষুক রেজাউল করিমের (৬৮) আর শীতবস্ত্র নেয়া হয়নি।
তারা বিতরণস্থলে কম্বল নিতে যাওয়ার পথেই কনকনে শীতে শরীরের থরথর কাঁপুনিতে মাটিতে লুটে পড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। বুধবার সকালে পৃথক এই দুটি মৃত্যুর ঘটনা জেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করে। অপরদিকে আগুনে শরীর তাপাতে গিয়ে পৃথক স্থানে মঙ্গলবার রাতে পরনের শাড়িতে আগুন ধরে গেলে তিন গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ হয়ে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এদের পিঠ,হাত ও পা ঝলসে গেছে। অগ্নিদগ্ধরা হলেন ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি গ্রামের ছমির উদ্দিনের স্ত্রী আর্জিনা বেগম (৩৬), একই উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়নের বারোবিশা গ্রামের আতাউর রহমানের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৩২) ও জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের খেরকাটি গ্রামের মৃত সঞ্জয় রায়ের স্ত্রী স্বপ্না রানী রায় (৫০)।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে সরকারের পক্ষে দ্বিতীয় দফায় এ পর্যন্ত ১২ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তৃতীয় দফায় আসা প্রায় ১২ লাখ টাকার শীতবস্ত্র ক্রয় করে বিতরণের কার্যক্রম তিনদিনেও শুরু করা হয়নি। অথচ ত্রাণমন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) এই অর্থ বরাদ্দ দিয়ে আগামী তিনদিনের মধ্যে কম্বল ক্রয় করে বিতরণের জন্য নির্দেশ দিয়েছিল।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আব্দুল মোতালেব জানান সরকারীভাবে দুই দফায় এ জেলায় ১১ হাজার ৮৩৬পিস কম্বল, দুই শ’ পিস চাদর ও ১শ’ পিস মাফলার বরাদ্দ পাওয়া যায়। যা ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তৃতীয় দফায় শীতবস্ত্রের জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয় গত রবিবার ১১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৩ টাকা বরাদ্দ প্রদান করে, যা জেলার ৬ উপজেলায় পূর্ণ বরাদ্দের মাধ্যমে আগামী তিনদিনের মধ্যে শীতবস্ত্র (কম্বল) ক্রয় করে বিতরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জেলা প্রশাসক আব্দুল মজিদ নির্দেশ দিয়েছেন।এদিকে বিভিন্ন উপজেলা থেকে অভিযোগ পাওয়া যায় তিনদিন আগে প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে পূর্ণ বরাদ্দের মাধ্যমে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দেয়া কম্বল ক্রয়ের টাকা দেয়া হয়। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ, সৈয়দপুর ও জেলা সদরের নির্বাহীকর্মকর্তাগণ কম্বল ক্রয় না করে টাকাগুলো তাদের নিজ জিম্মায় রেখেছেন।

No comments

Powered by Blogger.