ড্রোন হামলায় পাকিস্তানে শীর্ষ তালেবান নেতাসহ নিহত ১০

যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) হামলায় পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় তালেবান নেতা মোল্লা নাজিরসহ ১০ জন নিহত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। গত বুধবার রাতে এ হামলা হয়।
বুধবার আফগান সীমান্তবর্তী উপজাতী অধ্যুষিত দক্ষিণ ও উত্তর ওয়াজিরিস্তানে দুই দফায় ড্রোন হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের রাজধানী ওয়ানার নিকটবর্তী আঙ্গুর আদ্দার গ্রামের একটি বাড়িতে ড্রোন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন মোল্লা নাজির। গোয়েন্দা সূত্র ও স্থানীয় লোকজন হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক প্রশাসনের কর্মকর্তারা পাকিস্তানের ডন পত্রিকাকে দেওয়া বিবৃতিতে এ হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। কর্মকর্তারা জানান, ড্রোন হামলায় নাজিরের দুই প্রভাবশালী সহযোগী আতা উল্লাহ ও রাফি খানও নিহত হন।
ওয়াজির গোত্র থেকে আসা মোল্লা নাজির দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে তালেবানের শীর্ষ নেতা ছিলেন। তিনি মৌলভী নাজির ওয়াজির নামেও পরিচিত ছিলেন। পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপজাতি-অধ্যুষিত দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান আল-কায়েদা, তালেবান ও ইসলামপন্থী অন্য জঙ্গিদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আফগানিস্তানে অবস্থানরত বিদেশি সেনাদের ওপর হামলা চালানোর পক্ষে সোচ্চার ছিলেন মোল্লা নাজির।
সাত সেনা অপহৃত : পাকিস্তানে একটি বাস থেকে সাত সেনা সদস্যকে অপহরণ করেছে অস্ত্রধারীরা। আধাসামরিক বাহিনীর অপহৃত ২১ সদস্য তালেবানের হাতে নিহত হওয়ার রেশ না মেলাতেই সেনা অপহরণের এ ঘটনা ঘটল।
বুধবারের ওই ঘটনায় সেনাদের পোশাক পরা অস্ত্রধারীরা বাস থেকে সাত সেনা সদস্যের পাশাপাশি একজন ঝাড়ুদারকেও তাদের সঙ্গে নিয়ে যায়। এক সেনা কর্মকর্তা ও অন্যান্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে কারা তাদের অপহরণ করেছে সে ব্যাপারে তারা কিছু জানাতে পারেনি। তালেবানও এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।
গত সপ্তাহে পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনীর ২৩ সদস্যকে অপহরণ করে তালেবান। পরে তাদের মধ্যে চোখ-হাত বাঁধা এবং মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ২১ জনের লাশ পাওয়া যায়। বাকি দুজনের মধ্যে একজন পালিয়ে যান এবং আরেকজন মারাত্মক আহত হন। সূত্র : রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.