ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে সংলাপে বসার আহ্বান

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে এ বছরই শান্তি আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শান্তি অর্জনের লক্ষ্যে দুই পক্ষকে সরাসরি আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি যে পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরাপত্তার সঙ্গে অবস্থান করতে চায়, তা স্পষ্ট করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে তৃতীয় ইন্তিফাদা বা গণআন্দোলন রোধে পশ্চিম তীরে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গ্রেপ্তার জোরদার করার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সূত্র দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড গত বুধবার বলেন, 'আমরা ২০১৩ সালে প্রবেশ করেছি এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি নেতাদের সত্যিকারের নেতৃত্ব দেখানোর সময় হয়েছে। সরাসরি আলোচনায় ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে কাজ করার সময় এসেছে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন যে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরাপত্তার সঙ্গে পাশাপাশি অবস্থান করতে চায়, নেতাদের তা স্পষ্ট করার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।' উভয় পক্ষের নেতাদের 'একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ না নেওয়ারও' আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের বসতি স্থাপনকে কেন্দ্র করে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শান্তি আলোচনা স্থবির হয়ে আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ মাসেই তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করতে যাচ্ছেন। ইসরায়েলে আগামী ২২ জানুয়ারি পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরোধিতা সত্ত্বেও গত ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনকে স্থায়ী পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। নুল্যান্ড বলেন, '২০১২ সালের শেষে আমরা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ ও জটিল সময় পার করেছি। ২০১৩ সালে নতুন করে সবকিছু শুরু করতে পারব কি না তাই এখন প্রশ্ন। তবে এ ব্যাপারে সবাইকে সংযম দেখাতে হবে। ২০১৩ সালে আমরা ভালো সময় কাটাতে চাই।'
এদিকে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সূত্র দিয়ে এএফপি জানায়, পশ্চিম তীরের সন্দেহভাজন জঙ্গিদের ওপর অভিযান জোরদারের পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। গণআন্দোলন যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে তার জন্যই এই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, 'ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এক ধরনের জাগরণ তৈরি হয়েছে। এ কারণে ইসরায়েলের গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো ও হামাসসহ অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের নেতাদের গ্রেপ্তার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ইসরায়েলি সেনারা পশ্চিম তীরের নাবলুসে জঙ্গি সংগঠন ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে গেলে স্থানীয় জনগণ তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে। ইসরায়েলি বাহিনীর রাবার বুলেটের আঘাতে ৩০ ফিলিস্তিনি আহত হয়। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ২০১৩ সালের মধ্যেই স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই ইসরায়েল গ্রেপ্তার বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.