সীমান্ত হত্যায় বিভিন্ন সংগঠনের নিন্দা- সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার বন্ধের দাবি আসকের

বছরের শুরুতে দুই দিনে সীমান্তে চার বাংলাদেশিকে হত্যা, দুজনকে অপহরণ এবং একজনকে আটকের পর নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার আসকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারত সরকার বারবার আশ্বাস দিলেও বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তে হত্যা বন্ধে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার পরিপূর্ণভাবে নিষিদ্ধ, গরুর ব্যবসাকে বৈধতা প্রদান, সীমান্ত হাটের ধারণাকে আরও কার্যকর করে তোলা, দুই সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী জনগণের জন্য স্থানীয়ভাবে ভ্রমণ পারমিট প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বেসরকারি এই মানবাধিকার সংগঠন।
আসকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দুই দেশের সরকারের শীর্ষপর্যায়ে আলোচনা করে এই সমস্যা সমাধানে একটি বিস্তৃত রূপরেখা তৈরি করে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হোক। সরকারকে আমরা অনুরোধ করব এ ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগী হতে। কেননা, সীমান্তে হত্যা বন্ধ না হওয়া প্রকৃতপক্ষে বারবার আমাদের পররাষ্ট্রনীতির দুর্বলতাকে সামনে নিয়ে আসছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা: এদিকে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় ‘ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) পক্ষে সাফাই গেয়ে’ বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করেছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।
গতকাল বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে নেতারা বলেন, বিএসএফকে রক্ষার চেষ্টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্য চরম দায়িত্বহীনতা ও দাসত্বমূলক চরিত্রেরই প্রকাশ। এটা মানুষের জীবন নিয়ে তামাশা।
বাম মোর্চার সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সাইফুল হক, মোশরেফা মিশু, আবদুস সাত্তার, মোশাররফ হোসেন, হামিদুল হক প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.